আজ ১২ই ফেব্রুয়ারি। ১৯৯২ সালের আজকের দিনে আরো এক ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মহামেডানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল চিমা, বিজয়নরা। ২-০ গোলের ম্যাচে একটি চিমা ও অপর গোলটি এসেছিল বিজয়নদের পা থেকে। ঐ সময় মোহনবাগানই প্রায় ৫০ লক্ষ্য টাকার দল গড়েছিল। ভারতীয় ফুটবলে ঐ সময় যা ছিল সর্বাধিক। তবে এত দামী দল করেও এই ম্যাচটিতে গোলের জন্য তাদের প্রায় ৯৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সাদা কালোর গোলরক্ষক দেবাশীষ গাঙ্গুলি এদিন নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন। তার সৌজন্যেই মোহনবাগানকে ৯৮ মিনিট পর্যন্ত আটকে রাখতে পেরেছিল মহামেডান। চিমা বিজয়নের সাথে সাথে ওইদিন সবুজ মেরুন জার্সিতে ছিলেন আর এক স্ট্রাইকার শিশির ঘোষ। কিন্তু নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। অসংখ্য গোলের সুযোগ মিস করেছিলেন। তবে দুই প্রধানের ম্যাচটি হয়েছিল বেশ হাড্ডাহাড্ডি। ম্যাচ জিতে সেমিতে মোহনবাগান নেমেছিল জেসিটির বিরুদ্ধে।
একসময় এই দুই প্রধানের খেলায় থাকতো প্রতিযোগিতার স্পর্শ। একে অপরকে ছেড়ে কথা না বলার অদম্য লড়াই। কিন্তু বর্তমান সময় হারাচ্ছে ডার্বির মাহাত্ম্য। বর্তমানে আইএসএলে শীর্ষে রয়েছে মোহনবাগান। অন্যদিকে টেবিলে সবার শেষে ত্রয়োদশ স্থানে রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন এই মহামেডান দল। অপেশাদারিত্বের আঙ্গিকে প্রকাশ্যে চলে আসছে বিনিয়োগকারী সংস্থা ও ক্লাব কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা। আইলীগ জিতে আশা দেখালেও আইএসএলে এসে বাস্তবের কঠিন মাটিটা ভালোই টের পাচ্ছে মহামেডান। মহামেডান ক্লাবকে আবারও আগের গরিমায় ফিরতে হলে কর্মকর্তাদের বেরতে হবে মান্ধাতার আমলের চিন্তাধারা থেকে। সুযোগ দিতে হবে বিনিয়োগকারী সংস্থাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য। তবেই আবার মহামেডান ভারতীয় ফুটবলের তৃতীয় প্রধানের স্থানটিকে যোগ্য মর্যাদা দিতে পারবে।
Comments :0