নতুনপাতা
মণ্ডা মিঠাই
সমরেশ বসু ১০০
সিঞ্জন মুখার্জী
সমরেশ বসু ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালী লেখক। এছাড়াও তিনি কালকূট ও ভ্রমর ছদ্ম নামে জনসাধারণের কাছে বিখ্যাত। এই বিখ্যাত লেখক ১৯২৪ সালের ১১ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এনার পিতার নাম শ্রী মোহিনীমোহন বসু ও মাতার নাম শ্রীমতি শৈবালিনী বসু ।কর্মজীবন কালে ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ছয় বছর ইছাপুরের বন্দুক কারখানায় চাকরি করেছেন সমরেশ বসু।
প্রসিদ্ধ পরিচয় পত্রিকায় ১৯৪৬ সালে শারদীয়ার সংখ্যায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কে কেন্দ্র করে আদাব ছোটগল্পটির মধ্যে দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। ট্রেড ইউনিয়ন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন সমরেশ বসু। তার জন্য তাঁকে ১৯৪৯ সালে কারাবাসেও কাটাতে হয়েছে। কারাগারে বসে " উত্তরঙ্গ "নামক উপন্যাস রচনা করেন।
প্রায় চার দশক তিনি নিরন্তর লিখেছেন । তার রচনায় উঠে আসে আমাদের সমাজের একেবারে অবতলের জীবনচিত্র দারিদ্রকৃষ্ট মানুষের জীবন সংগ্রাম সমকালীন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সংঘাত এবং ঘূর্ণি। সমাজ ব্যবস্থার তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণে তার রচনা হয়ে ওঠে বিতর্কিত। বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের থেকে আশি দশক বাংলা কথা সাহিত্যে প্রবল প্রতিপত্তি নিয়ে বিরাজ করেছেন সমরেশ বসু। চরম দারিদ্রকৃষ্ট বেকার দশায় প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মাথা নিচু করে কাজ খুঁজবেন না লেখাই জীবিকা করে নেবেন। এবারও দুঃসাহস কারণ তখন বাংলা সাহিত্য শক্তিমান অনেক লেখক তাদের প্রভাব ছাপিয়ে নতুন লেখকের পক্ষে দাঁড়াবার জায়গা পাওয়া সহজ ছিল না। বিপুল তার রচনা সম্ভার। সমাজের নানা ধরনের মানুষের জীবন সংগ্রাম মানবিক সম্পর্কে জটিলতা সমকালীন রাজনৈতিক টানাপোড়ের রূপায়ণের রচনার আঙ্গিক নিয়ে নিরন্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন।তাঁর লেখা "শাম্ব" উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৮০ সালের একাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ইনি ১৯৮৮ সালের ১২ই মার্চ ইহলোক ছেড়ে পরলোক গমন করেন। সমরেশ বসু প্রনীত উপন্যাসের সংখ্যা হল ১০০। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপন্যাস হলো 'গঙ্গা', 'বিবর', 'প্রজাপতি', 'দেখি নাই ফিরে' ইত্যাদি। পরিশেষে বলা যায় যে , "বিচিত্র বিষয় এবং আঙ্গিকে নিত্য ও আমৃত্যু ক্রিয়াশীল লেখক এর নাম সমরেশ বসু।"
নবম শ্রেণী
কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
সূর্য সেন নগর, খড়দহ
উত্তর ২৪ পরগনা
৯৪৩৩৮৭৭৮৮৯
Comments :0