প্রতীম দে ও অরিজিৎ মণ্ডল
জ্যোতি বসু যাদের অসভ্য বর্ব বলেছিলেন তারা আজ ক্ষমতায়। কেবল নির্বাচন নয়, এই মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে মতাদর্শগত লড়াইও জরুরি। সে কাজে গুরুত্বপূর্ণ রসদ জোগাবে জ্যীতি বসু সমাজবিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্র।
শুক্রবার জ্যোতি বসু নগরে প্রথম পর্বের ভবন উদ্বোধন করে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর কোঅর্ডিনেটর প্রকাশ কারাত। স্মরণ করেছেন সদ্য প্রয়াত দুই নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।
কারাত বলেছেন, ‘‘আমরা আজও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং সীতারাম ইয়েচুরির শূন্যতা অনুভব করছি। এ কাজ শুরু সময় থকে তাঁরাও ছিলেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘জ্যোতি বসু মানে কমিউনিস্ট এবং বাম আন্দোলনের অগ্রগতির প্রতীক। রেলে ট্রেড ইউনিয়ন নেতা। তাঁর অবদান নিয়ে নতুন করে বলা নেই। দেশ বা পশ্চিমবঙ্গে তাঁর ভূমিকা অনবদ্য। কিভাবে সংসদীয় কাঠামোয় কমিউনিস্টরা কাজ করবে তার উদাহরণ জ্যোতি বসু। শ্রমজীবী, বঞ্চিত মানুষের কথা তুলে ধরা তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাওয়া সংসদীয় কাঠামোর ভেতর, দেখিয়েছেন তিনি।’’
কারাত বলেন, ‘‘বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তিনি বলেছিলেন এই শক্তিকে ‘অসভ্য বর্বর’। তারা এখন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে। হিন্দুত্বকে রাষ্ট্রের দর্শনে পরিণত করার চেষ্টা করছে। কেবল নির্বাচন নয় মতাদর্শের লড়াইও করতে হবে এই শক্তির বিরুদ্ধে। আজ জ্যোতি বসুকে স্মরণ করা তাঁর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আজ অত্যন্ত জরুরি। ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার পক্ষে বিভিন্ন অংশকে যুক্ত করে লড়াই চালানো আজ অত্যন্ত জরুরি।’’
কারাত বলেন, ‘‘এই কারণেই এই গবেষণা কেন্দ্র জরুরি। অ-যুক্তি এবং অন্ধত্বের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর পক্ষে এমন উদ্যোগ জরুরি। বঞ্চিত, শোষিত জনতার পক্ষে লড়াইয়ে এগনোর জন্যই এমন গবেষণা এবং সমাজবিজ্ঞানের চর্চা জরুরি।’’ কারাত বলেন, যে দু’টি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে তা এই লড়াইয়ে রসদ জোগাবে।
Comments :0