মহাশূন্যে গবেষণা কেন্দ্রের দায়িত্ব নিচ্ছেন চার সতীর্থ। প্রায় প্রায় নয় মাস পর সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর পৃথিবীতে ফিরছেন। রবিবার ড্রাগন স্পেসক্র্যাফটের বিশেষ ক্যাপসুলে করে মহাকাশ কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে পড়েন ‘ক্রু-টেন’-র চার মহাকাশচারী। আবেগঘন দৃশ্য তখন মহাশূন্যে। সুনীতা এবং উইলমোরকে গভীর আলিঙ্গনে বেঁধে ফেলেছেন ‘ক্রু-টেন’-র চার মহাকাশচারী।
বিবিসি ‘নাসা’-র এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে যে পৃথিবীর আবহাওয়া বুঝে সুনীতা এবং উইলমোরকে দ্রুত ফেরানো হবে। একটি মহাকাশযানে তাঁরা ফিরবেন নীল গ্রহে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে প্রায় নয় মাস আটকে রয়েছেন দুই মহাকাশচারী।
গত জুনে তাঁরা যান আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে। আটদিনের মধ্যে পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের সমস্যার কারণে আটকে থেকেছেন তাঁরা।
এলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স-র মহাকাশযান ড্রাগন স্পেসক্র্যাফট ‘ক্রু-টেন’ অভিযানে রওনা হয় শুক্রবার। ফ্লোরিডায় নাসা-র কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় রাত ৭টা নাগাদ মহাকাশে পাড়ি দেয় উড়ান।
নাসা-স্পেসএক্স’র এই অভিযানে রয়েছেন চার মহাকাশচারী- অ্যানে ম্যাকক্লেইন, নিকোলে আয়ার্স, তাকুয়া ওনিশি এবং কিরিল পেসকভ। রবিবার এই চারজনই পৌঁছে গিয়েছেন সুনীতা এবং উইলমোরের কাছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এই চার মহাকাশচারী এবার থাকবেন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে। মহাশূন্য থেকে ফিরবেন সুনীতারা।
স্পেসএক্স-র মালিক মাস্ক এবং ট্রাম্প সুনীতা উইলামসদের আটকে পড়ার বিষয়টিতে রাজনৈতিক বিতর্কও বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছেন, পূর্বতন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের ইচ্ছার অভাব ছিল বলে আটকে রয়েছেন দুই মহাকাশচারী। বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন অংশ তার প্রতিবাদও করে।
Spacecraft takes off to bring back Sunita
মহাশূন্যে আলিঙ্গন, এবার সুনীতাদের ফেরার প্রস্তুতি শুরু

×
Comments :0