পরমানু বিষয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা এখন ভিত্তিহীন। ইরানের ওপর ইজরায়েলের হামলার পর একথা ইরানের পক্ষ থেকে। খামেনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি এই সমারিক সংঘাত নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকের নিশানা করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে মার্কিন মদতেই ইরানে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল সেনা।
ইরানের সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই দেশের বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন, ইজরায়েলকে যুদ্ধে মদত দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেই ভূমিকা পালন করছে এই পরিস্থিতিতে তাদের সাথে কোন আলোচনায় বসা ভিত্তিহীন। তবে ইরানের এই দাবি নাকচ করেছে আমেরিকা। তাদের দাবি তারা ইজরায়েলকে কোন মদত দিচ্ছে না এই সামরিক সংঘাতে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে তারা পরমাণু বিষয় ইরানের সাথে বৈঠকে বসতে তৈরি। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্সহ্যান্ডেলে দাবি করেছেন যে তার প্রশাসনকে ইরানকে দুমাস সময় দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরমাণু চুক্তি করার, কিন্তু ইরানের পক্ষ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। রবিবার ম্যাস্কটে ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা পরমানু বিষয়। কিন্তু বর্তমানে যেই পরিস্থিতি তাতে সেই বৈঠক হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
গতকাল রাতে ইজরায়েলের ভুখন্ডে একের পর এক হামলা চালিয়েছে ইরান। মিসাইলের সাথে চলেছে ড্রোন হামলাও। ইরানের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে যে তাদের ক্ষেপনাস্ত্র ইজরায়েলের সামরিক হেড কোয়াটারে আঘাত এনেছে। ইরানের পক্ষ থেকে যে ইজরায়েলের একাধিক জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে তা নিশ্চিত করা হয়েছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান কর্ণেল শোশানি এক্সহ্যান্ডেলে দাবি করেছেন এশিয়া মহাদেশে যেই অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তার জন্য ইরান দায়ী।
খামেনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে ইরানের ভুখন্ডে আক্রমণের ফলে ইজরায়েলকে কড়া প্রত্যুত্তরের মুখে পড়তে হবে। তিনি দাবি করেছেন গোটা দেশ ইরানের সেনার পাশে আছে।
Iran Israel
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন আলোচনায় বসবে না ইরান

×
Comments :0