আমেদাবাদে ভেঙে পড়েছে বোয়িং সংস্থার ড্রিমলাইনার বিমান। সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা, শনিবার দুপুরে, ২৭০। দেহের অংশ পাওয়ার জন্য আর্তি পরিজনদের। যন্ত্রণার এই আবহে ফিরেছে
ড্রিমলাইনারের গুণমান সংক্রান্ত বিতর্ক। ফের সামনে গত বছর প্রয়াত জন বার্নেট।
আমেরিকার বোয়িং সংস্থা গুণমান খতিয়ে না দেখেই বাজারে ছাড়ছে বিমান। এই মর্মে অভিযোগ কেবল বার্নেট তুলেছেন এমন নয়।
একাধিক অভিযোগ উঠলেও রাজনৈতিক স্তরে প্রবল প্রভাবশালী বোয়িং সেসব ঢেকে দিতে পেরেছে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বস্তুত ‘আমেরিকান প্রসপেক্ট’ পত্রিকা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে।
বার্নেট ২০১০ থেকে ছিলেন বোয়িংয়ের সাউথ ক্যারোলিনা প্ল্যান্টে। এই কারখানাতেই বোয়িংয়ের ‘অ্যাসেম্বলি লাইন’। বার্নেট গুণমান পরীক্ষক। তিনি অভিযোগ তোলেন যে যেভাবে বিধি মেনে বিমানের বিভিন্ন অংশকে সংযুক্ত করার কাজ হওয়ার কথা, তা হচ্ছে না। কেবল তা-ই নয়, কেউ গোলমাল নজর করে জানালে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে।
আমেরিকায় বিমান নির্মাণ নজরদারি সংক্রান্ত দুই প্রতিষ্ঠান, ফেডারাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-কে জানিয়েছিলেন বার্নেট। ঘটনা হলো ফেডারাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বোয়িংকে সতর্কও করেছিল। তবে অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অভিযোগ খারিজ করে দেয়।
বার্নেট বোয়িং থেকে সরে যাওয়ার পরও অভিযোগ তুলে গিয়েছেন। গত বছর সাউথ ক্যারোলিনাতেই নিজের বাসস্থানের কাছে একটি গাড়িতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যু নিয়ে রহস্য কাটেনি। কিন্তু তার চেয়েও বড় হয়েছে ড্রিমলাইনারের সুরক্ষা বিধি মানা না মানার বিতর্ক।
Dreamliner Whistleblower
বোয়িং ড্রিমলাইনারের সুরক্ষা সতর্ককরী বার্নেট ফের আলোচনায়

×
Comments :0