India Modi

১১ বছরের শাসনে ভারত বিপদে

জাতীয়

মোদী সরকারের ১১ বছরের ঢালাও সাফল্য প্রচারে কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত চিত্র উলটো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বদলে দেশ ও দেশবাসীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন, দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে, উন্নয়ন তো পরের কথা অধিকারগুলিও হারাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। বছরে দু’কোটি বেকারকে চাকরির প্রতিশ্রুতি, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা, নোটবন্দির মাধ্যমে বিদেশ থেকে কালোটাকা উদ্ধার করে এনে দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া, এসব প্রতিশ্রুতিই এখন বিদ্রুপের মতো বিঁধছে ভারতবাসীকে।

বৈষম্যের শিকার নারীরা
মেয়েদের উন্নয়নে মোদী সরকারের সাফল্য প্রচার করা হচ্ছে। মনুবাদী ধারণায় যারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত, তারাই নাকি সরকারের সাফল্য প্রচারের মুখ! ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-র স্লোগান দিয়ে, দেশজুড়ে কোটি কোটি টাকার ঢালাও প্রচার চালিয়েছে বিজেপি সরকার। বিজেপি’র ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশের আশীর্বাদে’ ভারতের ‘লাডলি’-রা নাকি এখন সাফল্যের নতুন নতুন শিখর জয় করছে। বিশেষ করে বিহারের মতো যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি’র ‘ডবল ইঞ্জিনের’ সরকার রয়েছে, সেখানে নাকি ‘বিকাশ’ আরও দ্রুত গতিতে ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। কিন্তু সরকারের দেওয়া তথ্যই একেবারে উলটো কথা বলছে। 
কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণের সূচকে দেখা যাচ্ছে, দেশে ২০১৮ সালে কর্মসংস্থানের নিরিখে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে বৈষম্যের হার ছিল ৭২ শতাংশ। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭৮ শতাংশ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মূলত নিম্নবিত্ত মহিলারাই কর্মক্ষেত্র থেকে বাদ পড়ছেন। সরকারের নীতি, সমাজের পরিস্থিতিতে ঘরোয়া কাজে তাঁরা আবদ্ধ থাকতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি পুরুষদের মতো মহিলাদের মধ্যেও শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা এক দশকে লাফিয়ে বেড়েছে। ২০১১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী শিক্ষিত মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৯.৭ শতাংশ। ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৭.৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলের শিক্ষিত মহিলাদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা ওই ছয় বছরে প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে, ৪ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে এসে দাঁড়ায়। ২০১৮ সালে ভারতের প্রায় দেড় কোটি মানুষ কাজ হারান। তার মধ্যে ৮৮ লক্ষ মহিলা। গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা এমন প্রায় ৬৫ লক্ষ মহিলা কাজ হারান।
সাক্ষরতার হারেও মহিলারা ব্যাপকভাবে পিছিয়ে। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী, নারী পুরুষ সাক্ষরতায় বৈষম্যের হার ছিল ১৭ শতাংশ। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে অন্তত ২০ শতাংশ। বিশ্বের বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা এই ধরনের নানা সূচকে পুরুষ ও মহিলাদের কিরকম বৈষম্য রয়েছে, তা বিচার করতে ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইন্ডেক্স’ (আন্তর্জাতিক লিঙ্গ বৈষম্য সুচক) তৈরি করেছে। এই সূচকের ভিত্তিতে গত ২০১৮ সালে বিশ্বে ১০৮তম স্থানে ছিল ভারত। ২০২৪-এ ভারত ১২৯তম স্থানে এসে পৌঁছায়। বাংলাদেশের থেকেও পিছনে ভারত, এই সূচকে বাংলাদেশ ৯৯তম স্থানে রয়েছে। বিজেপি’র হিন্দুত্ব-কর্পোরেট স্বৈরশাসনে মানুষের অর্থনৈতিক দুর্দশার পাশাপাশি এইসমস্ত বর্ণভিত্তিক ও লিঙ্গভিত্তিক কাঠামোগত বৈষম্য আরও বেড়েছে। এর সমাধান না করে মহিলাদের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।

শ্রমিকরা অধিকারহীন
‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, সত্তর বছরে নাকি এই প্রথম দেশের খেটে খাওয়া মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। কিন্তু সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি)’র প্রকাশ করা শ্রমিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমীক্ষা বলছে, এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা ‘শোচনীয়’। খাতায় কলমে শ্রম আইন থাকলেও, বাস্তবে শ্রমিকদের কোনও অধিকার প্রায় নেই বললেই চলে, সেই শ্রম আইনের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে শ্রম কোডের নামে। বিশ্বের ১৫১টি দেশের মধ্যে শ্রমিকদের প্রাপ্ত অধিকারের নিরিখে ভারত ‘সব থেকে পিছিয়ে’ থাকা দেশগুলির মধ্যে রয়েছে। অধিকার রক্ষায় শ্রমিকরা তাই বাধ্য হয়ে ৯ জুলাই দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটে নামতে বাধ্য হচ্ছেন। 
আইটিইউসি’র রিপোর্ট জানিয়েছে, মোদীর ‘বিকশিত’ ভারত শ্রমিক অধিকারের মাপকাঠিতে সব থেকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে রয়েছে। ভারতে শ্রমিকদের ইউনিয়নের অধিকারের প্রতি নিয়মিত বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। ইউনিয়ন গঠন বা কোনোরকমের যৌথ দরাদরির চেষ্টা করলেই তাঁদের ছাঁটাই করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওভারটাইম মজুরি বাতিল করা হচ্ছে অথবা নির্ধারিত পদোন্নতি আটকে দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়নের অধিকারের পাশাপাশি, শ্রমিকদের ধর্মঘট করার অধিকারেও বড় রকমের দমন চালানো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ইউনিয়নের স্বীকৃতি ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে তামিলনাডুর ৯০০ জন স্যামসাং শ্রমিকের ধর্মঘট এবং তা দমনে সেখানকার সরকারের শ্রমিকদের উপর জোর জুলুমের ঘটনাও আইটিইউসি’র রিপোর্টে উঠে এসেছে। সার্বিকভাবে দেশে শ্রমিকদের যে কোনও আন্দোলন বা বিক্ষোভকে ‘অপরাধমূলক কাজ’ হিসাবে চিহ্নিত করার এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইটিইউসি। ধর্মঘটকে কার্যত বেআইনি ঘোষণা করার চক্রান্ত চলছে। এই প্রক্রিয়ায় ন্যায্য মজুরি ও সুষ্ঠু কাজের পরিবেশের অধিকার আদায় করতে শ্রমিকদের হাতে থাকা একমাত্র হাতিয়ার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
প্রান্তিক অংশের শ্রমিকদের ন্যূনতম কোনও অধিকার না থাকার সমস্যাও উঠে এসেছে আইটিইউসি’র এই রিপোর্টে। এর মধ্যে বিশেষভাবে ‘সঙ্কটজনক’ পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন ভারতের পরিযায়ী শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিক ও গৃহ পরিচারক-পরিচারিকারা। কোনও আইনি নিরাপত্তা কিংবা সরকারি পরিষেবার অধিকার তাঁদের নেই। ঠিক সেই কারণেই কোভিডের সময়কালে এই অংশের শ্রমিকরা ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি হন। অনেকে কাজ হারান। অনেকে মৃত্যুর মুখোমুখি হন। সরকারের তরফে তাঁদের সুবিধার্থে কোনও অর্থপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। উলটে লকডাউনের নামে তাঁদের উপর নৃশংস পুলিশি জুলুম নেমে আসে।

ভঙ্গুর অর্থনীতি
মোদী সরকারের নীতি আয়োগ প্রচারে নেমেছিল, ভারতের অর্থনীতি নাকি অগ্রগতির দৌড়ে জাপানকে ছাড়াতে চলেছে। জাপানের অর্থনীতি ৪ হাজার ১৮৬.৪৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে চলেছে, সেখানে ভারতের অর্থনীতি পৌঁছাবে  ৪ হাজার ১৮৭ .০২বিলিয়ন ডলারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মাথা পিছু আয়ে ভারতের থেকে জাপান বহু এগিয়ে রয়েছে। জাপানের যেখানে মাথাপিছু আয় ৩৩ হাজার ৩০০ ডলার সেখানে ভারতের মাথাপিছু আয় মাত্র ২হাজার ৮৮০ ডলার। ভারতের থেকে জাপানের মাথাপিছু আয় ১৫ গুণ বেশি। শুধু মাথাপিছু আয় দিয়েও ভারতবাসীর দুর্দশা বোঝা যায় না, কারণ এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বৈষম্য। ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের রিপোর্ট অনুসারে ভারতে বৈষম্য বাড়তে বাড়িতে ১৯২২ সালের ব্রিটিশ জমানার পর্যায়ে নেমে গেছে। দেশের এক শতাংশ ধনীর হাতে মোট জাতীয় আয়ের ২২ শতাংশের বেশি কুক্ষিগত রয়েছে। কাজেই দেশের প্রায় দেড়শো কোটি জনসংখ্যার হতদরিদ্র চেহারার উন্নতি ঘটছে না, উন্নতি কেবল আদানি আম্বানিদের। 
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান দপ্তর জানাচ্ছে শেষ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধি কমে এখন ২.৭ শতাংশে নেমেছে। যা গত  ৮মাসে শিল্প উৎপাদনে সর্বাধিক হারে হ্রাস বলে জানানো হয়েছে। এই একই সময়ে পণ্য ও পরিষেবা বিক্রি বৃদ্ধি হার কমেছে। গত বছর যেখানে বিক্রি বৃদ্ধির হার ছিল ৯,২ শতাংশ। সেই হার কমে হয়েছে ৫.৭শতাংশ। মানুষের আয় কমে যাওয়ায় বাজারে চাহিদা কমে গেছে। স্বাভাবিক ভাবে শিল্পের বিক্রি কমছে। 
শিল্পক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তুলে সরে যাচ্ছে বিদেশি লগ্নিকারকরা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে, করোনা মহামারীর পর থেকে ভারত বিদেশি বিনিয়োগে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। করোনার বছর ২০২০-২১ সালে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৩৮.৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ সালে সেই বিনিয়োগ কমে হয় ২৮ বিলিয়ন ডলার। পরের বছর ২০২৩-২৪ সালে তা কমে হয় ১০.১ বিলিয়ন ডলার। এবারে ২০২৪-২৫ সালে তা কমে হয়েছে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার বা ০.৪ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানাচ্ছে, ২০২৪-২৫ সালে বিদেশে বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়ার পরিমাণ হলো ৫১.৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছর বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়ার পরিমাণ ছিল ৪৪.৫ বিলিয়ন ডলার। গত এক দশকে এই রকম বিপুল পরিমাণ বিদেশি লগ্নি দেশ ছাড়েনি বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। একদিকে বিদেশি লগ্নি চলে যাচ্ছে, অন্যদিকে ভারতীয় শিল্পপতিদের বিনিয়োগও দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ভাঁওতা দিয়ে চলেছেন।


বিশ্বের দরবারে একাকীত্ব!
গত ৯ মে আইএমএফ’র বৈঠকে পাকিস্তানের প্রস্তাব অনুসারে তাদের আর্থিক সহায়তার জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান মঞ্জুর হয়েছে। ভারত নাকি এর তীব্র প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু কোনও সদস্য দেশই পাকিস্তানকে এই বিপুল অনুদান মঞ্জুর করার বিরোধিতা করেনি।  অপারেশন সিঁদুরের সময়কালে এরকম বহু কূটনৈতিক ব্যর্থতার পর, এবার ‘জি-৭’ শীর্ষ সম্মেলনে ডাকই পেলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী। গত বছরেই লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেও, ইতালিতে গিয়ে এই জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন মোদী। এবছর কানাডায় জি-৭’র বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে মোদীর আমন্ত্রণ জোটেনি। ‘বিশ্বগুরুর’ ফাঁকা আওয়াজ দিয়েও মোদী সরকারের আমলে কূটনৈতিকভাবে ভারত ঠিক কতটা কোণঠাসা অবস্থানে রয়েছে, এটা তার অন্যতম প্রমাণ। 
গত এক দশকে শুধুমাত্র আইএমএফ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেই নয়, দক্ষিণ এশিয়াতেও নিজের অবস্থান ধরে রাখতে ভারত ব্যর্থ হয়েছে। গত এক দশকে মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সদস্য হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সম্মেলন এবং কর্মসূচির থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে সরিয়ে নিয়ে ক্রমাগত একের পর এক অবস্থান এবং কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে আমেরিকার শিবিরের কাছে আত্মসমর্পণ করে তার শরিক হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে তাতে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতায় আঘাত লেগেছে। QUAD -এর মতো আমেরিকার নেতৃত্বে থাকা সামরিক জোটের অংশীদার হওয়া ও প্যালেস্তাইনে লাগাতার গণহত্যা চালানো ইজরায়েলের সাথে সখ্যতা বৃদ্ধি করা এই সমস্ত দেশের কাছে ভারতের বিদেশনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা ও ধারাবাহিকতাকেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে কেবল পাকিস্তানের সঙ্গেই ভারতের ঐতিহাসিকভাবে টানাপোড়েন থাকলেও অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশেগুলির সাথে যে সুসম্পর্ক ভারতের বরাবর ছিল তা এখন আর নেই। সার্কের কার্যকর নেতৃত্বদানে ভারতের ব্যর্থতা প্রকট হয়েছে। ইদানীংকালে নেপালের সাথেও কালাপানি ও লিপুলেখে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে যা একপ্রকার অভূতপূর্ব। দ্বিপাক্ষিক সমস্যা বেড়েছে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ সহ সবার সাথেই। মালদ্বীপের সঙ্গে সমস্যা মেটানোর বদলে ভারত থেকে আরএসএস কর্মীরা মালদ্বীপে ভারতীয়দের পর্যটন বন্ধ করে দিয়ে শুকিয়ে মারার হুমকি দিয়েছে। ভুবনেশ্বরের কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেপাল থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে জাতিবিদ্বেষী ঘটনা ভারতের চরিত্রকে উদারের পরিবর্তে উগ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করছে প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে। কার্যত জোর করে প্রতিবেশী দেশগুলিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে দূরে। এতে কি ভারতের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হচ্ছে?
 

Comments :0

Login to leave a comment