নগদ সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ২৯ বছর পর প্রথমবার উপভোক্তা মূল্য হ্রাস প্রত্যক্ষ করেছে। সেপ্টেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি ০.৫ শতাংশে নেমে গেছে।
জনগণনা ও পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য দেখাচ্ছে যে আগস্টে মূল্যস্ফীতি ০.৫ শতাংশের তুলনায় সেপ্টেম্বরে খাদ্য এবং অন্য পণ্যের মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
শ্রীলঙ্কা সর্বশেষ, ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে, ঋণাত্মক ০.৯ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড ছিল। ঋণাত্মক মূল্যবৃদ্ধির হার মানে দাম কমে যাওয়া। এর আগের দাম কমেছিল ১৯৮৫ সালে, যখন মুদ্রাস্ফীতি ছিল ঋণাত্মক ২.১ শতাংশ।
দুই বছর আগে দ্বীপ দেশটিতে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের সময় মূল্যস্ফীতি ৬৯.৮ শতাংশে পৌঁছেছিল।
খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র ঘাটতির কারণে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ হয় যা অবশেষে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাক্ষেকে সাময়িকভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। তাঁর উত্তরসূরি রনিল বিক্রমাসিংহে ২.৯ বিলিয়ন ‘বেলআউট প্যাকেজ’ নেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার বা আইএমএফ’র থেকে। শর্তসাপেক্ষ এই ঋণের জেরে কমে ভরতুকি, বাড়তে থাকে দামের বোঝা। ফলে জনতার ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।
সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পদ হারান বিক্রমাসিংহে। বিজয়ী হন বর্তমান বামপন্থী এবং মার্কসবাদী অনুরা কুমারা দিসানায়েকে। দিসানায়েকে আইএমএফ’র ঋণ চুক্তি বাতিল না করলেও আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার জন্য আলোচনা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
Comments :0