জনতা যখন সরকারের ‘না’-কে ‘হ্যাঁ’ করাবেন, তখন বাংলা বাঁচবে। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআইঁ(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রানিগঞ্জে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণে আগু-পিছু নিয়ে চিন্তিত নন বামপন্থীরা।
পার্টি পলিট ব্যুরো সদস্য সেলিম বলেছেন, ‘‘আমরা তৈরি আছি। প্রস্তুতি পুরোদমে জারি রয়েছে, জারি থাকবে। বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়া হয়েছিল রাজ্যে। তা লুটেরাদের হাতে চলে গিয়েছে। ফের তা মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে।’’
বৃহস্পতিবার রানীগঞ্জে সিপিআই(এম)’র বৈঠকে যোগ দেন সেলিম। সাংবাদিক সম্মেলনও করেন তিনি। পঞ্চায়েতে বামপন্থীদের সঙ্গে কারা থাকবে? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নে সেলিম বলেন, বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে শিরদাঁড়া সোজা রাখতে পারে এমন সব অংশকে নিয়ে লড়াইয়ে প্রস্তুত আমরা।
সারা রাজ্যের মতো কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভোট বন্ধ রেখেছে রাজ্য। ছাত্ররা অনশন করেন। সরকার বা কলেজ কর্তৃপক্ষ সাড়া না দিলেও ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই ভোটপর্ব সংগঠিত করেন। অভিনন্দন জানিয়ে সেলিম বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা সরকারের ‘না’-কে ‘হ্যাঁ’ করিয়েছে। রাজ্যের সব মানুষ যখন এমন মনোভাব দেখাবেন বাংলা তখন বাঁচবে।’’
পঞ্চায়েত ভোট এগনো-পিছানো প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় সেলিমকে। তিনি বলেন, তৃণমূল এবং বিজেপি চায় না সময়ে পঞ্চায়েত ভোট হোক। ওরা চায় ২০২৪’এ লোকসভা ভোটের সময় হোক পঞ্চায়েত। লালঝাণ্ডা বাংলার সর্বত্র রাস্তায় নেমেছে। ওরা এখন চাইছে না ভোট। আমরা দিনক্ষণ এগনো-পিছানো নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি পুরোদমে জারি রেখেছি।
আন্দোলন প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘কেবল রাজ্য নয়, সারা দেশে লড়াইয়ে রয়েছে বামপন্থীরা। ৫ এপ্রিল দিল্লিকে ঘেরার ঘোষণা করে দিয়েছে। প্রচার মাধ্যম সেদিকে নজর দেয় না বলে বামপন্থীদের লড়াই থেমে নেই। জনবিরোধী শক্তিকে হটানোর সব প্রস্তুতি চলছে।’’
১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিলি অনুষ্ঠানে ভিড়ের চাপে নিহত হন তিন গরিব নাগরিক। নিহতদের মধ্যে রয়েছে এক শিশুও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেলিম বলেন, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা একদিকে লুট চালিয়ে কিভাবে ছোলাবাদাম দিয়ে মানুষকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করে তার নমুনা মর্মান্তিক এই ঘটনা। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল না বিজেপি বড় কথা নয়। এরা আজ বিজেপি কাল তৃণমূল। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিপন্নদের পাশে থেকেছে সিপিআই(এম)। আজও রয়েছে।’’
আবাস যোজনায় কারচুপির প্রতিবাদে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন কাঁকসার মানুষ। নেমেছেন প্রতিবাদে। সেই ঘটনা মনে করিয়ে সেলিম বলেন, ‘‘বিডিও অফিস ঘেরা হলে আধিকারিকরা পালাচ্ছেন। জবাব দিতে পারছেন না। টাকা মানুষের। কোনও দলের না। হিসেব মানুষকে দিতে হবে।’’
Comments :0