বৃহ্স্পতিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদপত্রটি জানাচ্ছে, আরটিআই করে জানা গিয়েছে, ৬ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ৬ কোটি টাকার সামান্য বেশি অঙ্কের টাকা নির্বাচনী বন্ডে জমা পড়েছে। সেই পরিমাণ অর্থ রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলে জমা পড়েছে। গোটা আর্থিক লেনদেনে ১ কোটি টাকার বন্ড ব্যবহারের পরিমাণ ৯৯ শতাংশ।
আরটিআই’র তথ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, ২০১৮ সালে মোট ১৮৪.২০ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড বিক্রি হয়েছিল। ২০১৮ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়কালে এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হয়েছিল।
তথ্য অনুযায়ী, বেশি আর্থিক লেনদেন হয়েছে তেলেঙ্গানার রাজধানী শহর হায়দরাবাদে। মোট লেনদেনের পরিমাণ ৩৫৯ কোটি টাকা। এছাড়াও মুম্বই এবং দিল্লিতে যথাক্রমে ২৫৯.৩০ কোটি এবং ১৮২.৭৫ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড বিক্রি হয়েছে। জয়পুর শহরে বন্ড বিক্রি হয়েছে ৩১.৫০ কোটি টাকার। মিজোরাম থেকে একমাত্র বন্ড বিক্রির খবর মেলেনি।
প্রসঙ্গত, দিল্লি এবং মুম্বইয়ে নির্বাচন হয়নি। তারপরেও সেখানে বিপুল অঙ্কের বন্ড বিক্রি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, হায়দরাবাদে বিপুল অঙ্কের লেনদেন হলেই যে তা তেলেঙ্গানা নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই।
প্রতিবেদনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখছে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক অনুদান দেওয়া ব্যক্তি কিংবা সংস্থার পরিচয় গোপন থাকে। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী, বন্ডের বড় অংশ বিক্রি হয়েছে হায়দরাবাদ, দিল্লি এবং মুম্বইয়ে। এবং সেটি গিয়েছে দিল্লিতে। ইঙ্গিত স্পষ্ট। এক বা একাধিক জাতীয় দল এর সুবিধা পেয়েছে।
৪ নভেম্বর কেন্দ্রের তরফে নতুন দফায় নির্বাচনী বন্ড বাজারে ছাড়ার ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বেনামী আর্থিক সাহায্য পেয়ে আসছে রাজনৈতিক দলগুলি। কেন্দ্রের দাবি, এরফলে কালো টাকার ব্যবহার কমেছে। রাজনৈতিক লেনদেনে স্বচ্ছতা এসেছে। যদিও সিপিআই(এম) সহ সংশ্লিষ্ট একটা বড় অংশের দাবি, কর্পোরেট দাতার পরিচয় গোপন রাখার মধ্য দিয়ে গোটা প্রক্রিয়াটাকে অস্বচ্ছ রূপ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি কাদের সহায়তা নিচ্ছে, এই তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না।
একমাত্র এসবিআই’র মাধ্যমে নির্বাচনী বন্ডের লেনদেন হয়ে থাকে। এখনও অবধি মোট ২৯ দফায় নির্বাচনী বন্ড বাজারে ছাড়া হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি এই ব্যবস্থায় ১৫,৯২২.৪২ কোটি টাকা নিজেদের কোষাগারে ঢুকিয়েছে। সিংহভাগ গিয়েছে বিজেপি’র তহবিলে। তবে এবারের বন্ডে কোন দল কত টাকা পেয়েছে তা বোঝা যাবে পরে।
Comments :0