High Court

মেট্রো চ্যানেলেই হবে চিকিৎসকদের ধর্ণা মঞ্চ, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট

রাজ্য কলকাতা

ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলেই হবে চিকিৎসকদের ধর্ণা মঞ্চ। রাজ্যের আবেদনকে খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ডোরিনা ক্রসিং থেকে ৫০ ফুট ছেড়ে ধর্ণায় বসতে পারবেন চিকিৎসকরা। একসাথে ২০০-২৫০ জনের বেশি ওই ধর্ণা কর্মসূচিতে থাকতে পারবেন না। 
বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন, ডাক্তারদের বিক্ষোভ-অবস্থানে বাধা নেই। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের আবেদন করে রাজ্য।
গতকাল রায়ের পর জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল এবং অভয়া মঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছে,  শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে প্রতিবাদী মানুষের লাগাতার অবস্থান। এই অবস্থানের মূল দাবি থাকবে,  প্রথমত, অভয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সিবিআই-কে অবিলম্বে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সিবিআই যাতে চার্জশিট জমা করতে পারে, তার জন্য রাজ্য সরকারকে নো অবজেকশন দিতে হবে। তৃতীয়ত, অন্য সমস্ত প্রমাণ লোপাটকারীদের এবং বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের নায়কদের অবিলম্বে জেরা করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তদন্তে গতি আনতে হবে।
উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক-ছাত্রীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনার তদন্তে সিবিআই’র চরম ব্যর্থতার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে ধর্মতলায় ধর্নায় বসতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিল সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনগুলির ‌যৌথ আন্দোলনের মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস (জেপিডি)। ধর্মতলায় ধর্নার অনুমতি চেয়ে গত রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে একটি মেল করেছিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। সেখানে বলা হয়, ১৭ থেকে ২৬ ডিসেম্বর অবধি ডোরিনা ক্রসিংয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে তারা ধরনা দিতে চায়। আর জি করকান্ডে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদ ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ডাক্তারদের নিরাপত্তার দাবিতে মূলত এই কর্মসূচি করতে চাওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। চিকিৎসক সংগঠনের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কারণে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হবে না। সুরক্ষাও বিঘ্নিত হবে না। 
কিন্তু কলকাতা পুলিশের কাছে তার অনুমতি মেলেনি। সোমবার কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, এই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। ডোরিনা ক্রসিংয়ের মতো জায়গায় এই কর্মসূচি হলে যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা ছিল পুলিশের। এছাড়া বড়দিন এবং নববর্ষের আবহে ধর্মতলা এলাকায় বেশ ভিড় হয়। এই অবস্থায় ধর্মতলার মতো ব্যস্ত জায়গায় চিকিৎসকদের ধরনার অনুমতি প্রদান সম্ভব নয়।
যার ফলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জেপিডি। মঙ্গলবার চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফ থেকে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি চাওয়া হয়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় চৌরঙ্গি রোডের ওপর জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’কে বিক্ষোভ-অবস্থানের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।

Comments :0

Login to leave a comment