MOHUN BAGAN

এএফসি’র ম্যাচ নিয়ে আজ সিদ্ধান্ত, সামনের দিকে তাকাতে চান মোলিনা

খেলা

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টায়ার টু’র ম্যাচ খেলতে বেঙ্গালুরু থেকে ইরানের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। কিন্তু হঠাতই বাধা। রবিবার রাতেই কলকাতা ফিরে এসেছে মোহনবাগান দল। কারণ, শুক্রবার বেইরুটে ইজরায়েলী বিমান হামলায় মৃত্যু হয়েছে হেজবুল্লার প্রধান হাসান নাসারউল্লাহ। যে কারণে পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ইরানে। প্রতিকূল পরিস্থিতি। তাই, ফুটবলারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে, এএফসি ও এআইএফএফ’কে চিঠি দিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। গোটা ব্যাপারটি মোহনবাগানের তরফে জানানো হয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে, ইরানে ট্যাক্টর এফসি’র বিরুদ্ধে মোহনবাগান খেলতে যাবে কীনা! এদিকে, ভিসা সমস্যা মিটে গিয়েছে। সব ফুটবলারদেরই ভিসা হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। ইরানের রাষ্ট্রীয় শোক না হলে, ট্যাক্টরের বিরুদ্ধে খেলতে যেত মোহনবাগান। এবার পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার পর এএফসি সিদ্ধান্ত নেবে। অন্যদিকে, ট্যাক্টর এফসি’র একটি ফ্যান পেজ, মোহনবাগানকে খোঁচা দিয়ে লিখেছে, ‘ভারতের ক্লাব মোহনবাগান ইরানে ট্যাক্টর এফসি’র বিরুদ্ধে খেলতে আসতে চাইছে না, কারণ এক লাখ দর্শকদের সামনে ১০-০ গোলে হারার পর ভয় পাচ্ছে, তাঁরা মনে করছে, দশ গোলে হারার চেয়ে ওয়াকওভার দিয়ে ৩-০ গোলে হারা কম লজ্জাজনক।’ 
এছাড়াও, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে মোহনবাগান। এবারের আইএসএলে তাঁদের প্রথম হার। তিন ম্যাচের মধ্যে একটি ড্র, একটি জয় এবং একটি হার। পয়েন্ট সংখ্যা চার। ফলে বলতে হয়, গতবারের লিগ শিল্ড জয়ীদের শুরুটা একেবারেই ভালো হল না। যদিও লম্বা লিগ, অনেক উত্থান-পতন হবে। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এখনও শিল্ড জেতা সম্ভব মোহনবাগানের পক্ষে। তাঁদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। প্রথম তিন ম্যাচে যা যা ভুল ক্রুটি হয়েছে, সেগুলি শুধরে নিতে পারলেই, মরশুমে সাফল্য আসতে পারে ক্লাবে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে মোলিনা ও তাঁর ফুটবলারদের উপর। 
বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পর মোলিনার সাফাই, ‘ঘরের মাঠে খেলার যাবতীয় সুবিধা ওরা কাজে লাগিয়েছে। আমরা সমস্যার সমাধান করার জন্য সাহালকে নামাই। কিন্তু কিছুক্ষন থাকার পরই চোট পেয়ে বাইরে চলে যায়, যেটা আরও সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছিল, ম্যাচে ফেরার জন্য আক্রমনে শক্তি বাড়াতে হত, বল নিয়ন্র্ননের প্রয়োজন ছিল, আমরা কিছুই পারেনি সেসব। বেঙ্গালুরু আমাদের থেকে অনেকটাই ভালো খেলেছে। ওরা আমাদের আক্রমন আটকে দেয় রক্ষনে লোক বাড়িয়ে।’ মোলিনার আরও সংযোজন, ‘শুধু রক্ষনাভাগের ভুলের জন্য আমরা হেরেছি তা কিন্তু নয়, রক্ষন তখনই ভালো খেলবে, যখন দলের আক্রমনভাগ স্বমহিমায় খেলবে। আমাদের আক্রমনভাগের ফুটবলাররা একেবারেই ভালো খেলতে পারিনি এদিন। শুধু রক্ষনই নয়, আক্রমনভাগের খেলাতেও আমাদের উন্নতির প্রয়োজন। এছাড়াও ম্যাচে আমরা প্রচুর মিস পাস করেছি, সেগুলির সুযোগ ওরা নিয়েছে। ওঠা-নামা ভালো হয়নি। পরের ম্যাচগুলি জিততে হলে সমস্ত বিভাগেই আমাদের উন্নতি করতে হবে। যদিও প্রতিটি ম্যাচেই আমরা গোল খাচ্ছি। বেশ কিছু গোল খেয়েছি রক্ষনের ভুলে। আবার বেশিরভাগ গোলগুলি হয়েছে আক্রমনভাগের ভুল থেকে। সবমিলিয়ে খারাপ খেলেছি আমরা। তাই এই অতীত মনে রাখলে চলবে না, সামনের দিকে তাকানোটা ভীষন জরুরি।

Comments :0

Login to leave a comment