প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী জনসভায় ধর্মীয় মেরুকরণের লক্ষ্যে একের পর এক ভাষণ দিচ্ছেন। নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙছেন তিনি নিজেই। সিপিআই(এম) নির্দিষ্ট তথ্য এবং প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কমিশনের এই ভূমিকার ফলে তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা জরুরি।
বৃহস্পতিবার কেরালার কোঝিকোড়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ভাষাতেই সরব হয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিপক্ষে বামপন্থীদের একের পর এক ভূমিকা তুলে ধরেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘বিজেপি-কে কেন্দ্রের সরকার থেকে হটাতে হবে। শক্তিশালী করতে হবে বামপন্থীদের।’’
কমিশনে এর আগে চিঠি দিয়েছেন তিনিই। ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘দেশের সংবিধানে কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনকেই স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা যদি আচরণ বিধি ভাঙার পরও নীরব থাকে, তাহলে নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ হতে পারে না। সব রাজনৈতিক দলের সমান সুযোগ থাকতে পারে না।’’
বিহারের নওয়াদায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ, তারপরে একাধিক জনসভা থেকে সমানে বিরোধীদের ‘সনাতন ধর্ম বিরোধী’ বলে চলা, রামনবমীর দিন মনে করিয়ে ‘কারা পাপ করেছিল মনে রাখতে হবে’- এমন একাধিক ভাষণের সাক্ষ্য প্রমাণ কমিশনে জমা দিয়েছেন তিনি। অন্য নেতাদের প্রচার ঘিরে আচরণ বিধি ভাঙার দায়ে ব্যবস্থা নিলেও মোদীর বেলায় কমিশন নীরবই রয়েছে। ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘হিন্দু দেবতা রামের নাম এবং অযোধ্যার রামমন্দিরকে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ আরও ধারালো করতে চাইছেন।’’
ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘মূল বিষয়গুলি থেকে চোখ ঘুরিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। সামনে থেকে সেই প্রচারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদী। কর্মহীনতার হার দেশে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে চড়া, বেকারির হার স্নাতকদের মধ্যে ৪২ শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধিতে জনতা নাজেহাল। অথচ বেকারি বা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপি’র ইশ্তেহারে একটি কথাও বলা হয়নি।’’
SITARAM YECHURY EC MODI
মোদীর বেলায় ঠুঁটো, কমিশনের নিরপেক্ষতায় প্রশ্ন তুললেন ইয়েচুরি
×
Comments :0