DHARMATALA RALLY

পুলিশের বাধা হটিয়ে কলকাতায় কৃষক-শ্রমিক-খেতমজুর মিছিল

রাজ্য কলকাতা

মঙ্গলবার ধর্মতলা থেকে কলেজ স্কোয়ারের পথে শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর মিছিল।

ধর্মতলা থেকে কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর সংগঠনের ডাকা মিছিল শুরু হওয়ার মুখেই ব্যারিকেড দিয়ে পথ আটকায় পুলিশ। কেন মিছিল আটকানো হলো তা নিয়ে প্রশাসন কোন জবাব দিতে পারেনি। সংগঠন গুলোর নেতৃত্বের সাথে দীর্ঘক্ষন আলোচনা করার পর মিছিলের অনুমতি দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। 

মঙ্গলবার ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে খেতমজুর নেতা নিরাপদ সরদারের মুক্তি এবং মূর্শিদাবাদে আইন অমান্য আটক হওয়া সিপিআই(এম) কর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয় সংগঠন গুলোর পক্ষ থেকে।

পুলিশকে জানিয়েই এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল বলে নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এদিন মিছিল শুরু হওয়ার মুখেই ধর্মতলায় ব্যারিকেড করে রাস্তা আটকায় পুলিশ। তাদের দাবি মিছিলের কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। 

খেতমজুর আন্দোলনের নেতা অমিয় পাত্র বলেন, ‘‘পুলিশের ক্ষমতা নেই শাহজাহানকে ধরার। শিবু আর উত্তমকে আড়াল করে রেখেছিল। গ্রামের মহিলাদের ওপর যেই অত্যাচার হয়েছে তার বিরুদ্ধে এই মিছিল। সেই মিছিল পুলিশ কেন আটকে ছিল আমাদের জানা নেই।’’  

শ্রমিক-কৃষক এবং খেতমজুর আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ মিছিল করতে দেওয়ার দাবিতে অনড় ছিলেন। পুলিশবাহিনী ওপরের স্তরে আলোচনা চালায়। শেষ পর্যন্ত মিছিলের সামনে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় পুলিশ।  

মিছিলে বারবারই স্লোগান উঠেছে সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দারকে মুক্তির। তিনি সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়কও। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষক শ্রমিক এবং খেতমজুর সংগঠনগুলির ডাকে আইন অমান্য ছিল। বহরমপুরে আইন অমান্য এবং বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। মারা যান কমরেড আনারুল ইসলাম। প্রতিবাদ জানানো হয়কলকাতার এই মিছিলে। ওই ঘটনাতেও বামপন্থী আন্দোলনের ১৫ নেতা-কর্মীকে জেলে রাখা হয়েছে তাঁদের মুক্তির দাবিও তুলেছে এই মিছিল।  

Comments :0

Login to leave a comment