২১ শতকে দাঁড়িয়েও ঋতুস্রাব নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে বিশ্বের বড় অংশে। ভারতীয় সমাজও তার বাইরে নয়। সেই ছুঁতমার্গ কাটানোর উদ্যোগ নিল এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটি। সংগঠনের রাজ্য দপ্তরে উদ্বোধন করা হল স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের।
সারা বিশ্বে ২৮ মে ‘মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে’ বা ঋতুস্রাব সচেতনতা দিবস হিসেবে চিহ্নিত। বিশ্বে মহিলাদের মধ্যে ঋতুস্রাবজনিত স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পালিত হয় এই দিনটি। ২০২৪ সালে এইদিনটির থিম ‘টুগেদার ফর পিরিয়ড ফ্রেন্ডলি ওয়ার্ল্ড’। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটির উদ্যোগে দীনেশ মজুমদার ভবনে একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের উদ্বোধন করা হয়। এই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের বাম-কংগ্রেস প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম, ঝাড়গ্রামের প্রার্থী সোনামণি টুডু, সর্বভারতীয় এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষ, দেবাঞ্জন দে, প্রণয় কার্যী, শৌভিক দাসবক্সী, দিধীতি রায়, বর্ণনা মুখার্জি সহ ছাত্র নেতা কর্মীরা।
এসএফআই’র বক্তব্য, ঋতুস্রাব জনিত সচেতনতার অভাবে ৫ জনের মধ্যে ১ জন ছাত্রী স্কুলছুট হয়। সারা বিশ্বে গড়ে ২.৩ কোটি ছাত্রী প্রতিবছর শিক্ষার আঙিনা থেকে হারিয়ে যায় এরফলে। সচেতনাতার অভাবের প্রভাব এসে পড়ে গণস্বাস্থ্যের উপরেও। সারা বিশ্বের ২৭ শতাংশ সারভাইক্যাল ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের বাস ভারতে। এই অবস্থায় এইদিনের সচেতনতার লড়াই ছাত্র সমাজের প্রতিদিনের লড়াইয়ের অংশ।
ছাত্র নেতৃত্বের কথায়, লিঙ্গসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজের সমস্ত ধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই প্রয়োজন, সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেই কাজই করে চলেছে এসএফআই। আগামী দিনে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং পাব্লিক প্লেসে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানোর দাবিতে জনমত গঠন করবে এসএফআই।
Comments :0