ফসলের দাম না পেয়ে কৃষককে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ফড়েদের দখলে বাজারদর। কৃষকদের অভিযোগ সার, কীটনাশক, বীজে কালোবাজারি হয়েছে। এখন এক বস্তা (৫০কেজি)’র আলুর দর ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। আলু চাষ করে খরচের অর্ধেক টাকাও উঠবে না। আবারও সর্বস্বান্ত হওয়ার মুখে আলু চাষীরা।
রবিবার সারা ভারত কৃষক সভার ডাকে চন্দ্রকোনাতে আলু চাষীদের তুমুল বিক্ষোভ হয়। রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। ৪ নম্বর রাজ্য সড়কের চন্দ্রকোনার টাউনের গাছশীতলা মোড়ের চৌরাস্তায় আলু ফেলে পথ অবরোধ বিক্ষোভে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় দীর্ঘক্ষণ। কৃষক সভার পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সর্বস্বান্ত হওয়ার অবস্থা ঠিকই। তবে আত্মহত্যা নয়, আসুন সবাই মিলে সামিল হই ফসলের ন্যায্য দাম আদায়ের লড়াইতে।
এদিন ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি ব্লক সহ গড়বেতা, গোয়ালতোড়, চন্দ্রকোনা রোড, কেশপুর ব্লক গুলি থেকেও আলুর সহায়ক মূল্যের দাবিতে কৃষকরা শামিল হেন এই কর্মসূচিতে। কৃষকরা অভিযোগ তোলেন ফড়েদের পৃষ্ঠপোষক রাজ্যের তৃণমূল সরকার শীত ঘুমে। সার, কীটনাশকের কালোবাজারি চলছে চাষের মরসুমে। দাবি উঠে আলুর সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আলু কিনতে হবে।
কৃষক নেতা রামেশ্বর দোলই, চিন্ময় পাল প্রমুখ কৃষক সমাজের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই কৃষক শ্রমজীবি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে চলেছে। কৃষক না বাঁচলে দেশের অর্থনীতি আরেও নিম্নগামী হবে।
বিক্ষোভরত কৃষকদের বক্তব্য, এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে ৩৩-৩৫ হাজার টাকা খরচ। প্রতি কেজি ৮ টাকা মূল্য পেলে তবেই খরচ উঠবে। সেখানে তার অর্ধেক দামও পাচ্ছেন না সব কৃষক। প্রতি কেজি ন্যূনতম ৯ টাকা দরে সরকারকে সরাসরি কৃষকদের থেকে আলু কিনতে হবে, জোরালো হয়েছে এই দাবি।
Comments :0