মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক জোটানো হয়েছে বিপুল খরচ করে। শুক্রবার বাঁকুড়ার ওই সভার জন্য খরচের অঙ্ক ৭৮লক্ষ ১২ হাজার ৮১০ টাকা। জনতার করের অর্থে এই খরচ হয়ে সেই রাজ্যে যেখানে টাকার অভাব বলে বন্ধ রেগার মজুরি, ডিএ।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিডিওরা যে নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন। ৭০০টি বাসে করে মানুষজনকে নিয়ে আসা হয়। টাকা বাস মালিকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে বলে সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। বাঁকুড়া জেলার বাইরে বর্ধমান, আসানসোল থেকেও কিছু বাস নেওয়া হয়েছিল। পরিবহণ দপ্তরের অধীন খোদ জেলা আরটিও’র দেওয়া লিখিত তথ্য থেকে শনিবার এ খবর জানা যাচ্ছে।
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সভায় প্যান্ডেলের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। সার্কিট হাউসে থাকার জন্য ১৮ ঘন্টায় তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা! চালানো হয়েছে ১০টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য সরকারের ভাড়া নেওয়া হেলিকপ্টারে বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে নামেন। মাসে ২০ লক্ষ টাকা ওই হেলিকপ্টারের জন্য ভাড়া গুনতে হয় সরকারকে। সেই যানটি সেদিন সারাদিন স্টেডিয়ামেই ছিল।
সব মিলিয়ে কোটি টাকার উপর খরচ করে বাঁকুড়ার মানুষ কি পেলেন? এই প্রশ্ন শনিবার উঠেছে। আবার আশ্চর্য ঘটনা হল বাঁকুড়া সার্টিক হাউস থেকে যে গাড়িটিতে করে মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার সরকারি সভায় যান সেটিও দলীয় গাড়ি।
Comments :0