গ্রুপ ডি চাকরী প্রার্থীদের দ্বিতীয় দিনের মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুনন্ধার কান্ড ঘটলো বাগনানে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও বার বার মিছিল আটকালো পুলিশ। এমনকি মিছিল আটকাতে চাকরী প্রার্থীদের মারধর করলো পুলিশ। তাতেও তাদের দমাতে না পারলে টেনে হিঁচরে পুলিশ গাড়ি তুলে আটক করে মিছিল ভন্ড করার চেষ্টা করলো পুলিশ। চাকরী প্রার্থীদের অভিযোগ, মহামান্য হাইকোর্টের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কিভাবে আটকাচ্ছে তাদের মিছিল। এমনকি মিছিল আটকাতে আমাদের ওপর পুলিশের যে বর্বরোচিত আক্রমণ নামিয়ে আনলো তাকে আমরা ধিক্কার জানাই। এদিন পুলিশ রাজ্য গ্রুপ ডি কনভেনার আশীষ খামরাই’কে মেরে চশমা ভেঙে নাক ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
এদিন চাকরী প্রার্থীদের এই মিছিল থেকে পুলিশ ৮ জন চাকরী প্রার্থীকে আটক করে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, গ্রুপ ডি চাকরী প্রার্থীরা চাকরির দাবিতে সোমবার তমলুক থেকে তাদের মিছিল শুরু করেছিল। পূর্ব মেদেনী পুলিশ প্রশাসন তাদের বাধা দেয়। বাধা পেয়ে চাকরীপ্রার্থীরা পুনরায় মঙ্গলবার বাগনানের আমতা মোড় থেকে মিছিলের ডাক দেয়। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বাগনান আমতা মোড় থেকে শুরু হয়ে খাদিনান বাজার, হারোপ পান বাজার, নওপাড়া, উদং, ফতেপুর রথতলা, সোনামুই মন্দির, গাজিপুর, ইসলামপুর, গাববেড়িয়া হয়ে রানিহাটি বাজারে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেইমত এদিন সকালে জাতীয় সড়কের বাগনান আমতা মোড় থেকে তাদের মিছিল শুরু করে। মিছিল খাদিনান ব্রীজের কাছে পৌছাতেই পুলিশ চাকরী প্রার্থীদের মিছিল আটকে দেয় ।
পুলিশের সাথে চাকরী প্রার্থীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষন ধ্বস্তাধ্বস্তি চলার পর পুনরায় চাকরী প্রার্থীরা মিছিল শুরু করলে বাঙালপুরের কাছে পুলিশ পুনরায় মিছিল আটকে দেয়। এখানেও চাকরী প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। এরপর চাকরী প্রার্থীরা রাস্তার মাঝখানে বসে পড়ে পথ অবরোধ শুরু করে। পুলিশ অবরোধ থেকে কয়েকজনকে আটক করে। তাতেও চাকরী প্রার্থীরা দমে না গিয়ে ফের মিছিল শুরু করে। পুন্যাল মাঠের কাছে পুলিশ তাদের ফের আটকে দেয়। ফের পুলিশের সাথে ধ্বস্থাধস্তি করে চাকরীপ্রার্থীরা মিছিল শুরু করে আমতা কলতলা মোড়ে গিয়ে মিছিল শেষ করে। এদিন চাকরী প্রার্থীরা জানিয়েছেন, নিজেদের ন্যায্য দাবি থেকে তারা সরবেনা। চাকরী না পাওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে।
Comments :0