আগামীকাল মালদহে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রশাসনিক সভা শহর সংলগ্ন এলাকায় না করে এবার গাজোলে করছেন। এর একটাই লক্ষ্য সামনে পঞ্চায়েত ভোট। জেলা সবচেয়ে বড় ব্লক গাজোল। ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, রয়েছে ৩ টি জেলা পরিষদের আসন। তবে জেলায় পঞ্চায়েতে সীমাহীন দুর্নীতি। বিশেষতঃ ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি এখন জেলায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। তবে শাসক দল এই দুর্নীতিকে আড়াল করতে একে ভুল, প্রাপ্তি বলে এড়িয়ে যেতে চাইছে। তবে এই সীমাহীন দুর্নীতি যে এবারের নির্বাচনে একটা হাতিয়ার হবে বিরোধীদের তা পরিষ্কার। এমন কোন পঞ্চায়েত নেই বা শাসক দলের সদস্য নেই যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়।
তবে দুর্নীতির পাশাপাশি আর বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে আসবে তার মধ্যে রয়েছে গাজোল ও চাঁচল পৌরসভার প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী বার বার মালদহে এসে এই দুটি জায়গাকে পৌরসভা করা হবে বলে ঘোষণা করলেও বছরের পর বছর কেটে গেলেও এক কদম এগোয় নি পৌরসভা গঠনের প্রশ্নে। মঙ্গলবারে সভা হচ্ছে আবার গাজোলেই। সকলে অপেক্ষা করছে মুখ্যমন্ত্রী কি বলেন তার উপর।
এদিকে এই সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে পুরানো সমস্যা তুলে ধরে জেলা শাসকের কাছে চিঠি দিয়ে লকডাউনের সময়ে যেসব পরিযায়ী শ্রমিক মারা গেছেন তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার দাবি তুলেছে।
সিআইটিইউ’র জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা চিঠিতে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা দিয়ে বলেছেন লকডাউনের সময় পুরুলিয়া জেলার ৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক এক পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলে রাজ্য সরকার তাদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দিয়েছিলেন। অথচ লকডাউনের সময় মালদহের ১৮ জন পরিযায়ী বাড়ি ফেরার সময় মারা গেলেও রাজ্য সরকার কোন আর্থিক সহায়তা প্রদান করে নি। ২০২০ সালের ১৭ ও ১৯ জুন জেলা শাসককে ডেপুটেশন দেওয়া হলেও এবং প্রশাসন এ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করলেও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার ব্যাপারে। জেলা শাসককে দাবি সনদ দিয়ে বিষয়টি পুনরায় উত্থাপন করে এ বিষয়ে জেলা শাসক মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে কোন সিদ্ধান্ত ঘোষণা আগামীকাল করা হয় কিনা সেদিকে তাকিয়ে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার।
Comments :0