গুজরাট অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) রবিবার বরোদা থেকে ১৫ জন সন্দেহভাজনকে প্রশ্নপত্র সহ গ্রেপ্তার করেছে। এদিন সকালে নির্ধারিত পঞ্চায়েত জুনিয়র ক্লার্ক নিয়োগ পরীক্ষা জামনগরে একটি পেপার ফাঁসের কারণে গুজরাট পঞ্চায়েত পরিষেবা নির্বাচন বোর্ড পঞ্চায়েত জুনিয়র ক্লার্ক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে ।
পুলিশ সুপার (এসপি) গুজরাট এটিএস সুনীল যোশি বলেছেন, ‘গুজরাট অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড ক্রমাগত তাদের উপর নজর রাখছিল যারা আগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত ছিল। ১৫ জন অভিযুক্তকে বরোদা থেকে প্রশ্নপত্র সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হয়েছিল যে ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে আপোস করা হবে না। পরীক্ষাটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। গুজরাট পুলিশ এবং গুজরাট এটিএস রাজ্য সরকারের নির্দেশের পর একটি সক্রিয় পদ্ধতির সাথে কাজ করেছে’। এটি একটি খুব সংগঠিত আন্তঃরাজ্য দল। আরও তদন্ত চলছে।
কংগ্রেস ও আপ একযোগে সরকারকে আক্রমণ করছে পেপার ফাঁসের ঘটনায়। গুজরাটের কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি পেপার ফাঁসের ঘটনায় জন্য বিজেপি সরকারকে নিন্দা করেছে যার ফলে রবিবার পঞ্চায়েত জুনিয়র ক্লার্ক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কংগ্রেস নেতা অমিত চাভদা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং পেপার ফাঁসের জন্য দায়ী সকলের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি যুব সমাজের ভবিষ্যত নিয়ে খেলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে জবাবও দাবি করেছেন।
গুজরাটের আপের সভাপতি ইসুদান গাধভি এই ঘটনায় হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির কাছে তদন্ত চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গুজরাটের মানুষ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বিশ্বাস করেছে। আর বিজেপি জনগণকে কী দিয়েছে? কাগজ ফাঁসের একটি ঐতিহ্য’... আমি দাবি করি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এর জন্য দায়ী হন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পদত্যাগ করুক।
Comments :0