ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রকোপে রাজ্যে শুক্রবার তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাস্তার জমা জলে বিদ্যুতের তার পায়ে জড়িয়ে ভবানীপুরে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। হাওড়া কর্পোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতিপাড়ায় রাস্তার জমা জলে ঢাকা পড়া গর্তে হোঁচট খেয়ে পড়ে অপর এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে, ঝড়বৃষ্টির সময়ে ভেঙে পড়া গাছ সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমায় এক নাবালকের।
এদিন দুপুরে ভবানীপুরের জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডের বাসিন্দা সৌরভ গুপ্ত (২৫) ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটি জলমগ্ন ছিল। জমা জলে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে পা জড়িয়ে যায় তাঁর, মুহূর্তেই প্রাণ হারান তিনি। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ভুজিয়া বিক্রেতা পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন সৌরভ। তাঁর মৃত্যুর পর কীভাবে চলবে সংসার, তা নিয়ে উদ্বেগে পরিবারের লোকজন।
হাওড়াতেও জমা জল প্রাণ কেড়েছে এক যুবকের। এদিন বিকেলে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া কর্পোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতিপাড়ায়। বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন গৌতম চট্টোপাধ্যায় (৩৮) নামে এক যুবক। বাড়ির কাছেই রাস্তায় জমা জলের নিচে লুকানো গর্তে কোনওভাবে হোঁচট খেয়ে পড়ে জ্ঞান হারান তিনি। দীর্ঘক্ষণ তিনি জলের মধ্যে পড়ে ছিলেন। শেষে চ্যাটার্জি হাট থানার পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধরনগর এলাকায় শুভজিৎ দাস (১৭) নামে এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল ঝড়ে তাদের বাড়ির ছাদে একটি গাছ ভেঙে পড়েছিল। শুক্রবার সকালে ছাদ থেকে সেই গাছ সরাতে গিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার। ভেঙে পড়া গাছের সঙ্গে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে ছিল। তা খেয়াল করেনি শুভজিৎ। গাছের ডাল ধরে টানার সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। পরিবার এবং পড়শিরা তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শুভজিতের।
Comments :0