সাম্প্রতিক একাধিক অভিযোগ উঠেছে অঙ্গনওয়াড়ির খাবারের গুণগত মান নিয়ে। কখনো সাপ, কখনো টিকটিকি, কখনো আরশোলা সহ বহু অভিযোগ উঠেছে। এবার আরও বড় সমস্যা। আইসিডিএস কেন্দ্রে রান্নাই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সাত দিন ধরে। অভিযোগ সরকারিভাবে চাল সরবরাহ না করায় বন্ধ রয়েছে খিচুড়ি, ভাত খাওয়ানো। ৭ দিন রান্না হয়নি। ফলে খাবার পাচ্ছে না প্রসূতি ও শিশুরা। ধূপগুড়ি ব্লকের পৌরসভার একাধিক আইসিডিএস সেন্টারে এমনই ছবি ধরা পড়েছে। আইসিডিএস সেন্টার গুলোতে শিশুদের জন্যে পুষ্টিকর যে খাদ্য সরবরাহের নির্দেশ রয়েছে সরকারিভাবে সেই নির্দেশিকা অমান্য করার ছবি ধরা পরল। শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত শিশু খাদ্য। শিশু খাদ্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকতার যার কারণে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও আইসিডিএস সেন্টার থেকে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়নি। কিন্তু এখন সরকারি ভাবে সেই নির্দেশিকা থাকলে চাল না থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খিচুড়ি, ভাত খাওয়ানো। যদিও এই বিষয়ে কোন কিছু জানেন না খোদ ব্লকের সিডিপিও, এমনই সাফাই দিলেন তিনি। গত সাত দিন ধরে ধূপগুড়ির বিভিন্ন সেন্টারে দেওয়া হচ্ছে শুধু ডিম, আবার কোনো সেন্টারে দেওয়া হচ্ছে শুধু মাত্র ডিম, ছাতু। কারণ ধূপগুড়ি পৌরসভার অন্তর্গত অধিকাংশ শিশুআলয় সেন্টারগুলিতে নেই ডাল, চাল এমই অভিযোগ অভিভাবকদের। সরকারি ভাবে চাল সরবরাহ না থাকায় কারণেই এই সমস্যার দেখা দিয়েছে বলে জানান সেন্টার ইনচার্জরা। আর বরাদ্দকৃত খাবার না পেয়ে মাঝেমধ্যেই আইসিডিএস কর্মীদের কাছে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অভিভাবকরা।
বেশ কিছুদিন ধরে চালের সরবরাহ নেই সিডিপিও দফতর থেকে এমনই দাবি আইসিডিএস সেন্টারের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের। তাদের দাবি বারবার সিডিপিও কে বলেও কোনো লাভ হয়নি। যার ফলে মাঝে মধ্যেই অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পরতে হচ্ছে আইসিডিএস কর্মীদের। অভিভাবকরা এসে দাবি করছেন চাল কোথায়? চাল থাকলেই হবে রান্না। খিচুড়ি কোথায় সেই দাবি করেন তারা। যেহুতু চাল সরবরাহ নেই সেই কারণেই রান্না বন্ধ রয়েছে। চাল সরবরাহ ঠিক কি কারণে বন্ধ হয়েছে তাও পরিষ্কার ভাবে জানা যায়নি।
অঞ্জলি সরকার নামে এক শিশুর অভিভাবক বলেন, সেন্টার ৬ দিন ধরে শুধু ডিম দিচ্ছে, অন্যান্য খাবার মিলছে না। আমরা কর্মীদের খাবারের কথা বললে ওনারা বলেছেন চালের সরবরাহ নেই তাই দিচ্ছিনা।
সেন্টার ইনচার্জ মিনু নাগ বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চাল সরবরাহ বন্ধ। তার আগের দিন প্রর্যন্ত আমরা খাবার দিয়েছিলাম। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সপ্তাহে তিনদিন খিচুড়ি ও তিনদিন ভাত দিতাম। কিন্তু এখন চাল নেই দেখেই আমরা দিতে পারছিনা। বাচ্চাদের অভিভাবকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করছে আমরা না থাকলে কিভাবে দেবো। তিনি বলেন, এই বিষয়ে সিডিপিও সাহেবকে জানিয়েছি।
আরেক সেন্টার ইনচার্জ অপর্ণা বসু দত্ত বলেন, পৌরসভার বেশিরভাগ সেন্টারে খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি খাবার শেষ হয়েছে। তারপর থেকে শুধু ডিম দিচ্ছি।
সিডিপিও সন্দীপ কুমার দে বলেন, আমরা দু-মাসের চাল একবারেই পাঠাই, আমি জানিনা কোন সেন্টারে চাল নেই তবে বিক্ষিপ্ত কোনো সেন্টারে চাল না থাকতে পারে। কোনো সেন্টারে চাল না থাকলে পাশের কোনো সেন্টার থেকে লোন হিসেবে চাল নেওয়া যেতে পারে। চাল সরবরাহের অর্ডার শুরু হয়ে গিয়েছে, আজকেই সব সেন্টারে চাল পৌঁছে যাবে।
Comments :0