FRANCE STRIKE

ধর্মঘট, প্রতিবাদে স্তব্ধ ফ্রান্স

আন্তর্জাতিক

FRANCE STRIKE

প্রতিবাদে ভেঙে পড়ছে ফ্রান্স। এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকারের পেনশন সংস্কার নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন ছাত্ররাও। অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ সরাসরি শামিল প্রতিবাদে। ধর্মঘটে স্তব্ধ হয়েছে অর্থনীতির বড় অংশ।

অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করার ঘোষণা করেছে ফ্রান্স। সরকারি ভাষ্যে এ কথা বলা হলেও ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা বলছেন, আসলে পেনশন ব্যবস্থা ভেঙে দিতে চাইছে সরকার। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা তুলে দিতে চাইছে। 

বামপন্থী নেতা জাঁ লুক মেলেশঁ বলেছেন, ‘‘কিছুতেই ম্যাক্রোঁ যা চাইছেন তা হবে না। পেনশন অনিশ্চিত করে দেওয়ার প্রথম ধাপ এই পদক্ষেপ।’’ 

জানুয়ারির ১৯ তারিখেও ফ্রান্সেরে শহরে শহরে হয়েছে প্রতিবাদ। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় শামিল বহু মানুষ। দেশের আটটি বড় ট্রেড ইউনিয়নে সক্রিয়ভাবে ধর্মঘটে, প্রতিবাদে শামিল। 

নান্তেস, লিওঁ, বডো, মার্সেই হয়েছে বড় মিছিল। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বসে থেকেছেন অবস্থানে। ধর্মঘটে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। 

আগামী সপ্তাহেই ফ্রান্সের জাতীয় সংসদের অধিবেশন। সেখানেই সংস্কার নীতি অনুমোদন করতে চাইছেন ম্যাক্রোঁ। তবে পূর্ণ গরিষ্ঠতা তাঁর রেনেসাঁ পার্টির নেই। সেক্ষেত্রে বিরোধী অংশেরও সমর্থন লাগবে। দক্ষিণপন্থী বিভিন্ন অংশের সঙ্গে হাত মেলানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ম্যাক্রোঁ।  

ধর্মঘটে অচল হয়েছে স্কুল, অচল হয়েছে তেল শোধনাগার। বহু শহরে বন্ধ থেকে যান চলাচল। সিজিটি ইউনিয়নের নেতা ফিলিপ মার্টিনেজ বলেছেন, ‘‘কুড়ি লক্ষ লোক কোনও না কোনও ভাবে শামিল হয়ে গিয়েছেন লড়াইয়ে।’’ 

দেশের মহিলা আন্দোলনও শামিল হয়েছেন। মহিলা নেত্রীরা বলছেন, ‘‘পুরো পেনশন পাওয়ার জন্য পুরুষদের থেকেও মহিলাদের বেশি সময় কাজ করতে হবে। এই সংস্কারের ফল হবে সেটিই।’’  

Comments :0

Login to leave a comment