ADANI SHARE FALL

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে কমল আদানির শেয়ার দর

জাতীয় আন্তর্জাতিক

ADANI SHARE FALL

একটি বিদেশি অনুসনদ্ধান সংস্থার রিপোর্টের জেরে কমল আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর। গোষ্ঠীর সাতটি সংস্থারই শেয়ার দর কমায় খুইয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। 

‘হিন্ডেনবার্গ’ নামে এই সংস্থা জানাচ্ছে এর আগে একাধিক কর্পোরেট জালিয়াতি ধরা পড়েছে তাদের অনুসন্ধানে। আদানি রিপোর্টে সংস্থার বক্তব্য, আদানি গোষ্ঠী বিপজ্জনক আর্থিক অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঋণের পাহাড় হয়ে রয়েছে সংস্থার। শেয়ার বাজারে লেনদেনেও অস্বচ্ছতা আছে। 

বুধবার এই রিপোর্টের খবর জানাজানি হতেই ভারতের শেয়ার বাজারে কমতে থাকে আদানির ঋণপত্রের দর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেয়ারের দাম ফাঁপিয়ে বাড়ানো। যে কোনও সময়ে পড়ে যেতে পারে।  

আদানি গোষ্ঠীও এদিন সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে। গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর পালটা অভিযোগ, বাছাই করা ভুল তথ্য পরিবেশন করেছে এই রিপোর্ট। গোষ্ঠীর কারও সঙ্গে কথা বলা হয়নি। ভিত্তিহীন এবং অযোগ্য একগুচ্ছ অভিযোগ হাজির করেছেন হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে হিন্ডেনবার্গ সংস্থার দাবি, একাধিক কর্পোরেট জালিয়াতি তারা হাতেনাতে ধরে ফেলেছে। যেমন নিকোলা সংস্থা দাবি করেছিল জেনারেল মোটর্সের অংশীদারিত্ব নিতে চলেছে। নিকোলা অভ্যন্তরীণ হিসেব পত্র পরীক্ষা করায় ধরা পড়েছিল সংস্থার আর্থিক অবস্থা আদৌ ভাল নয়। 

শেয়ার বাজারে আর্থিক পণ্যের দাম চড়তে থাকে কাঙ্ক্ষিত দাম বেশি হলে। ভবিষ্যতে শেয়ারের দাম বাড়বে কিনা তার ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগের ওঠানামা। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠীর আর্থিক লেনদেন অনেকাংশেই পরে কিনে নেওয়ার জন্য। শেয়ার বিক্রির পর বাজারে দাম পড়লে সংস্থা আবার তা কিনে নেবে। তখন কম দামে একই শেয়ার কিনে নিতে পারবে সংস্থা। এই আর্থিক সম্পদ আবার রাখা হয়েছে বিদেশি বন্ড বা ভারতের বাইরে লেনদেন যোগ্য ঋণপত্রে। হিসেবেই ধোঁকাবাজি আছে। শেয়ারের দাম পড়ার আশঙ্কা ৮৫ শতাংশ।  

ফলে ভারতের বাজারে অনেকেই মনে করতে থাকেন শেয়ারের দাম পড়ছেই আদানির। এর আগে ফিচের ঋণ অনুসন্ধান সংস্থা ‘ক্রেডিটসাইট’ গত আগস্টে আদানির অত্যন্ত বিপজ্জনক ঋণের রিপোর্ট দিয়েছিল।  মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি, এই দুই শিল্পমালিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ্যে দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তুলে দিয়েছেন এই দুই সংস্থার হাতে। তাতে এদের সম্পদ বাড়লেও ভারতের অর্থনীতির লাভ হয়নি। বারবার তথ্য দিয়ে তা দেখিয়েছেন বামপন্থীরা। 

 

Comments :0

Login to leave a comment