নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই বাজিমাত করে ফেলেছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী দলের ইনিংস মাত্র ১০৮ রানেই শেষ হয়ে যায়। ফলে, ভারতের জয়ের পথ অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। আর যিনি এই জয়ের মূল কান্ডারি, সেই মহম্মদ সামি এদিন উমরান মালিকের মুখোমুখি হন বিসিসিআই টিভি আয়োজিত এক টক শোতে।
প্রথমেই উঠে আসে, বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়রা কীভাবে ফিটনেস বজায় রাখবেন। ‘আমি মনে করি ম্যাচ খেলেই ফিট হওয়া যায়। আমার কাছে অনুশীলনের থেকে ম্যাচ খেলার গুরুত্ব বেশি। বড় কোনও টুর্নামেন্টের আগে যত ম্যাচ খেলা যাবে তত ফিট হয়ে ওঠা যাবে’, জানান ভারতীয় পেস বিভাগের মূল স্তম্ভ। এই বছরের শেষের দিকে, ভারতের মাটিতে বিশ্ব ক্রিকেটের মহারণ, অর্থাৎ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই মাসের গোড়ার দিকে বিসিসিআই ঘোষণা করে যে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবে, যাতে বিশ্বকাপে ভারতীয় স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে কোনও ধোঁয়াশা না থাকে। শেষ যেবার দেশের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর বসেছিল, সেই ২০১১ সালে ভারত জিতেছিল। এইবারও, তার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর লক্ষ্যে মেন ইন ব্লু’দের অন্যতম সেরা বাজি পেসার মহম্মদ সামি।
গত ম্যাচ প্রসঙ্গে সামি স্পষ্ট জানান, ‘রায়পুরের উইকেট ব্যাটিংয়ের সহায়ক ছিল না ঠিকই, তবে বোলারদেরও ১০০ শতাংশ সহায়তা করেনি। লাইন- লেংথ বজায় রেখেই আমরা ম্যাচ বের করে নিই।’ বুমরাহর অনুপস্থিতিতে, তিনিই যে পেস বিভাগকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা তাঁর বক্তব্যে পরিষ্কার। ‘আমি আমার বোলিং পার্টনারদের সঙ্গে সবসময় কথা বলি। হতে পারে, সেই বোলার হয়তো ১০০ শতাংশ দিচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। সেই সময় সিনিয়র হিসাবে তার সঙ্গে কথা বললে হাতেনাতে ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। আমি যখন বোলিং করি, এই দিকটা ভীষণ ভাবে গুরুত্ব দিই।’
দলে তাঁর ভূমিকা কী, এই প্রশ্নে সামি মৃদু হেসে বলেন, ‘দলে আসা ইস্তক আমার ভূমিকা একই আছে। শুধু ফিটনেস আর ডায়েটের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়।’ শ্রীলঙ্কার পর নিউজিল্যান্ড।
পর পর দুটি সিরিজই পকেটে পুরে ফেলেছে ভারতীয় ব্রিগেড। তাই কিউয়িদের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ ম্যাচে নতুনদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী বঙ্গসন্তান। ‘রজত পাতিদার বা তোমার (উমরান মালিক) মতো নতুনদের দেখে নেওয়া উচিত।’ তবে বিশ্বকাপের ছয় মাস আগেই চূড়ান্ত স্কোয়াড বেছে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন না তিনি। ‘আরও ম্যাচ খেলতে হবে ও আরও অনেক নতুন ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতে হবে’, বলেন সামি। তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে সামিকে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। এই বিশ্বকাপে তিনি ২০১১ বিশ্বকাপের জাহির খান হয়ে উঠতে পারবেন কিনা তা আর কয়েক মাসের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
Comments :0