ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী মনে করেন হোম সিরিজে সহঅধিনায়ক রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর মতে, দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ফর্মে না থাকলে প্রথম ১১ চয়নে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আইসিসি রিভিউ পডকাস্টের এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন মেন ইন ব্লু’দের প্রাক্তন হেড স্যার। তাঁর ইঙ্গিত যে কে এল রাহুলের দিকে, তা বলা বাহুল্য। বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির বাকি ২টি টেস্টে রাহুলের জায়গায় শুভমান গিলকে দেখতে চান তিনি। ‘টিম ম্যানেজমেন্ট রাহুলের ফর্ম ও মানসিক অবস্থা, দুটো বিষয়েই অবগত রয়েছে। এই অবস্থায় গিলকে পরীক্ষা করা যেতেই পারে’, স্পষ্ট জানান শাস্ত্রী।
পরের বক্তব্যেই তিনি খোলসা করেন যে তিনি সহঅধিনায়ক রাখার পক্ষপাতী নন। ‘ঘরের মাঠে সহঅধিনায়ক নিষ্প্রয়োজন। আমি সরাসরি বলতে চাই, আমি ঘরের মাঠের সহঅধিনায়ক রাখার পক্ষপাতী নই। বিদেশে খেলা হলে, অন্য ব্যাপার।‘‘ফর্মটাই শেষ কথা। গিলের মতো একজন যে ধারাবাহিক ভাবে ভালো পারফর্ম করে চলেছে, সে বাইরে থাকবে এটা হতে পারে না। সে চ্যালেঞ্জ নিতে জানে। সহঅধিনায়ককে স্কোয়াডে রাখতে গিয়ে একজন ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানকে বসিয়ে রাখার পিছনে যুক্তিটা কী?’’ এদিন সরাসরি গিলের হয়ে ব্যাট ধরেন ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার তথা বিরাটদের প্রাক্তন হেডস্যার।
শাস্ত্রীর মতে ভারতের মতো দেশে, ক্রিকেটে অন্তত প্রতিভার অভাব নেই। তাই দলে জায়গা ধরে রাখতে হলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘প্রতিভা ঘরের দরজায় কড়া নাড়ছে। মিডল অর্ডার হোক বা বোলিং লাইন আপ, ভারতীয় দলের প্রতিটি বিভাগে গভীরতা রয়েছে।’ এছাড়াও তিনি বলেন যে অফ ফর্মে থাকা কোনও খেলোয়াড়কে সাময়িক অব্যাহতি দিলে সে ফের ভালো খেলা শুরু করবে। চেতেশ্বর পূজারার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমার আমলে পূজারাকে কয়েক ম্যাচের জন্যে বসিয়ে দিয়েছিলাম। দলে ফিরে এসে একটার পর একটা সেঞ্চুরি করে। কে এল রাহুলের ক্ষেত্রেও একই জিনিস করে হাতেনাতে ফল পেয়েছি। মনে, রাখবেন টি টোয়েন্টির ফর্ম দিয়ে টেস্টের ফর্ম মূল্যায়ন করা যায় না।’ প্রসঙ্গত, বর্ডার গাভাস্কার সিরিজে ইতিমধ্যেই চালকের আসনে ভারত।
পরপর দুটো টেস্ট জিতে ২- ০ ব্যবধানে এগিয়ে রোহিতরা। আর একটি টেস্ট জিতলেই, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্ব টি টোয়েন্টি ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে। ইংল্যান্ডের কন্ডিশন আলাদা হলেও ভারত অনায়াসেই তার মোকাবিলা করতে পারবে বলে মনে করেন শাস্ত্রী। তাঁর মতে ফাইনালের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার থেকে ভারত মানসিক ভাবে এগিয়ে।
Comments :0