IMA JALPAIGURI

‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র মাথাকে শাস্তির আবেদন জলপাইগুড়ি আইএমএ’র

জেলা

সাংবাদিক সম্মেলনে আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার চিকিৎসকরা।

আর জি কর কাণ্ডে জড়িয়ে রয়েছে নাম। ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র মাথা বলে পরিচিত চিকিৎসক সেই সুশান্ত রায়কে আইএমএ’র সদস্যপদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার দাবি তুলল উত্তরবঙ্গেরই জলপাইগুড়ি শাখা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ’র জলপাইগুড়ি শাখা এই শাস্তির দাবি জানালো এই চিকিৎসক সংগঠনের শীর্ষস্তরে। 
তৃণমূল বিধায়ক এবং চিকিৎসক প্রদীপ বর্মাকে পাশে বসিয়ে এই দাবি তুলেছেন আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার সদস্যরা। সুশান্ত রায়ের পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসক পুত্র এবং চিকিৎসক অভীক দে-কে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জলপাইগুড়ির শাখার প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার দাবি তোলা হয়। সংগঠনের সবরকম কর্মসূচি থেকে দূরে রাখার প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে জাতীয় স্তরের কমিটিতে। জলপাইগুড়ি আইএমএ-র কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়ার সুপারিশও পাঠানো হয়েছে। 
বুধবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির আইএমএ’র বিশেষ সাধারণ সভা ডাকা হয়। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পরে আইএমএ-এর জলপাইগুড়ি শাখার তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে কাউকে বরখাস্ত করা বা কমিটি ভেঙে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত আইএমএ’র জাতীয় স্তরে কমিটিকে ঘোষণা করতে হয়। সেই মতো জলপাইগুড়ি শাখা নিজেদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে। 
গত মঙ্গলবার আইএমএ-র রাজ্য শাখা সুশান্ত রায়কে সাসপেন্ড করেছিল। সুশান্ত রায় বা তাঁর ছেলে সৌত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অভিযোগ, আইএমএ-এর জলপাইগুড়ি শাখার অন্দরেও ‘হুমকি সংস্কৃতি’ তৈরি হয়েছিল। 
বুধবারের বৈঠকে সুশান্ত রায় বা তাঁর ছেলে সৌত্রিক উপস্থিত ছিলেন না। জলপাইগুড়ি আইএমএ’র সভাপতি নিতাই মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শেষে জলপাইগুড়ি আইএমএ’র প্রাক্তন সম্পাদক পান্থ দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা মনে করছি সুশান্ত রায়, সৌত্রিক রায় এবং অভীক দে-র বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি উঠছে তা সত্যি। সৌত্রিক রায়ের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ এসেছিল, ঘটনার দিন তাঁর আর জি কর হাসপাতালে উপস্থিত থাকা নিয়েও আমাদের কোনও সংশয় নেই।”

Comments :0

Login to leave a comment