ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘাত চলছে পুরোদমে। তার সঙ্গে চলছে গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের সারিতে গুলিও। রবিবার গাজার রাফায় ইজরায়েলের সেনার গুলিতে নিহত হয়ে নিহত হয়েছেন ১৩ জন। 
রাফায় খাদ্যের জন্য সারিতে দাঁড়ানো মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। আমেরিকা ও ইজরায়েলের মদতে তৈরি গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের খাদ্য বিলির কেন্দ্রে চলেছে গুলি।
গাজায় ইজরায়েলের সেনার আক্রমণে নিহেত সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে আগেই। দীর্ঘসময় বন্ধ রাখা হয়েছে ত্রাণ। এখন খাদ্য বিলির দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়ে ক্ষুধার্ত জনতার সারিতে গুলি চালাচ্ছে ইজরায়েল। 
এদিন গাজার অন্য জায়গাতেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। মোট নিহতের সংখ্যা ৩৭।
নেতজারিম করিডোরে এই ত্রাণ কেন্দ্রে খাবারের জন্য দীর্ঘ সারি পড়ে যায় রবিবারও। খাবারের প্যাকেট নিতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তার মধ্যেই ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি আসতে শুরু করে।
গত দশদিনে অন্তত চারবার ত্রাণ কেন্দ্রে গুলি চালিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। প্রতিবাদের মতো রবিবারও সেনার একই রেকর্ড বাজিয়েছে। বলেছে যে ভিড়ের মধ্যে সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখতে পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গাজার নাগরিকরা অনেকেই বলছেন ত্রাণ কেন্দ্রকেও মরণফাঁদ বানিয়েছে ইজরায়েল। খাবার, জলের খোঁজে দিশেহারা মানুষকে বাধ্য হতে হচ্ছে ভিড় করতে। তারপর চালানো হচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। গুলি চালানোর আগে কোনো সতর্কবার্তাও জারি করছে না ইজরায়েল। 
রবিবার দক্ষিণ গাজায় আকাশ থেকেও কয়েকদফায় ফেলা হয়েছে বোমা। অন্তত ১২ জন মারা গিয়েছে এই হামলায়। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরের একাধিক ত্রাণ সংগঠন গাজায় ক্ষুধা এবং স্বাস্থ্যের ভয়াবহ অবস্থায় শঙ্কা জানিয়েছে। বস্তুত দুর্ভিক্ষের মধ্যে চলতে হচ্ছে গাজাকে।