দীপশুভ্র সান্যাল
বৈশাখ আসছে। কত রকমারি আয়োজনই না থাকে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে। হালখাতা সেসব আয়োজনেরই একটি অংশ। নিছক হিসেবের খাতা না, বাকি নগদে দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতাই নয়, তার বাইরেও ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সম্পর্কও গড়ে ওঠে হালখাতা ঘিরে।
প্রায় চার দশক ধরে এই হাল খাতা বা জাবেদা খাতা নিয়ে বিহার থেকে জলপাইগুড়ি পাড়ি দিয়েছেন আবিদ হোসেন। আসন্ন বাংলার নববর্ষ, এই ডিজিট্যাল যুগেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে হাল খাতার প্রচলন। আর এই সুযোগে যাতে কিছু কেনা বেচা হয়, তাই নতুন হাল খাতা নিয়ে সুদূর বিহার থেকে এবারেও জলপাইগুড়িতে পা রেখেছেন আবিদ হোসেন।
হাল খাতার ব্যবসায়ী হোসেন বিগত প্রায় চার দশক ধরে এভাবেই বাংলা নববর্ষের আগে পৌঁছে যান শহরে জাবেদা খাতা তৈরি করতে। শহরের ছোট জুতোর দোকান ব্যবসায়ী অরূপ মালাকার বলেন, ‘‘ছোটোবেলা থেকেই ওনার কাছ থেকে হাল খাতা কেনার রেওয়াজ দেখে এসেছি। দামে কম এবং ভালো বাঁধাইয়ের জন্য ওনার এই জিনিসের চাহিদা রয়েছে।’’
আবিদ হোসেন জলপাইগুড়িতে প্রতি বছর আসেন রামনবমীর আগে। একেবারে অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত থাকেন বাড়ি ভাড়া নিয়ে। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। কম্পিউটারে হিসেব রাখার প্রচলন বাড়ছে বলে জাবেদা খাতা বাতিল হয়ে গিয়েছে অনেক ব্যবসাতে। ফলে আগের তুলনায় ব্যবসা কম। তবে খাতা তৈরির কাজ থেকে সরে যাননি আবিদ হোসেন। জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ীদের ভরসা এখনও তিনিই।
Comments :0