world

নয়া-উদারবাদী শিক্ষা মডেলকে নাকচ করল কেনিয়ার আদালত

আন্তর্জাতিক

কেনিয়া হাইকোর্ট যুগান্তকারী রায় দিয়েছে যা উচ্চশিক্ষার জন্য নতুন আর্থিক মডেলকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে। কেনিয়া মানবাধিকার কমিশন এবং ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ককাস সহ অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে আদালতে আনা এই মামলাটি গত বছর চালু হওয়া নতুন মডেলের বৈধতা এবং ন্যায্যতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল।
বিচারপতি মিতা তার রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন তহবিল মডেলটিকে বেশ কয়েকটি কারণে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। উচ্চ আদালত উল্লেখ করেছে যে এটি আইনের সাথে সংঘাতপূর্ণ নীতি প্রবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৫৩ ধারা লঙ্ঘন করে। আদালত মডেলটিকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করেছে, আর্থিক সামর্থ্য, স্কুলের ধরণ, বয়স এবং ‘‘পরিবারের আয়’’ এর মতো অস্পষ্ট মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে এর অসম আচরণের কথা উল্লেখ করে যা সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে সমতা এবং বৈষম্য থেকে মুক্তির গ্যারান্টিকে নস্যাৎ করে। অতিরিক্তভাবে, তহবিল মডেলটি পূর্ব নোটিশ বা পরামর্শ ছাড়াই হঠাৎ করে বিদ্যমান পরিকাঠামো প্রতিস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের বৈধ প্রত্যাশা লঙ্ঘন করেছে। তদুপরি, আদালত রায় দিয়েছে যে মডেলটি জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং সংসদীয় তদারকির জন্য সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ককাস আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে একে শিক্ষার্থী এবং কেনিয়ার বৃহত্তর জনগণের বিজয় হিসেবে অভিহিত করেছে।
আদালতের এই রায় কেনিয়ার নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার সাথে মিলে যায়, বিশেষ করে গত বছর দেশে গণবিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে। যেহেতু শিক্ষা একটি মৌলিক জনকল্যাণ, তাই এর তহবিলে যে কোন পরিবর্তন অবশ্যই সকল কেনিয়ানরা যাতে শক্ষার নাগাল পায় এবং সমতা বজায় তাকে, এই বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, এবং আদালতের রায় দ্বারা এটা স্পষ্ট যে এই বিষয়গুলি বিবেচনা করা হয়নি নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে। তবুও, এটি অস্বাভাবিক নয় কারণ নয়-উদারবাদী নীতিগুলি শিক্ষাকে পণ্য হিসাবে ঠেলে দেয় যা কেবল অর্থের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

Comments :0

Login to leave a comment