আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীর বুধবারও জামিন মঞ্জুর হল না। এদিন নওসাদ সিদ্দিকি সহ ১৮জনকে ১৫ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল। মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৌনক মুখার্জি পুলিশের আবেদন নাকচ করে ভাঙরের বিধায়ক সহ ধৃত ১৮জনকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ এখনও পর্যন্ত আইএসফ কর্মী, সমর্থকদের ওপর আক্রমণকারী তৃণমূল দুষ্কৃতিরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি।
গত ২২জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফ’র এক কর্মসূচী থেকে বিনা প্ররোচনায় আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী সহ ১৯জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এই ১৯জনের মধ্যে একজন নাবালক ছিল। গত ২৪জানুয়ারি সে জুভেনাইল কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছে। গত ২২জানুয়ারি আইএসএফ’র প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। সেই কর্মসূচীর শুরুতে ভাঙরে পুলিশের সামনেই তৃণমূলের সমর্থকরা আইএসএফ’র মিছিলের ওপর হামলা চালায়। বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েকজন আইএসএফ সমর্থক তৃণমূলের আক্রমণে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর ধর্মতলায় সংগঠনের কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছিলেন কর্মী সমর্থকরা। সেখানে বিনা প্ররোচনায় এই কর্মী সমর্থকদের ওপর কার্যত হামলা চালায় পুলিশ। নিউ মার্কেট থানা এবং হেস্টিংস থানার পুলিশ যৌথভাবে লাঠি চালায়। এই ঘটনার পরই পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী সহ ১৯জনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মিথ্যা মামলা সাজানো হয়। বিশেষ করে ৩০৭, খুন করতে উদ্যোত হওয়া। ৩৩৩, অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানো সহ বিভিন্ন জামিন অযোগ্য ধারায় এই মামলায় যুক্ত করেছে পুলিশ। সরকারী কর্মীকে কাজে বাধা, সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার ধারাও এই মামলায় যুক্ত করেছে পুলিশ। গত ২৩জানুয়ারি আদালত এই ১৯জনকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল।
Comments :0