গতবার বাজেট রেগায় বরাদ্দ ছিল ৭৩,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু অনুমানের তুলনায় কাজের জন্য আবেদন বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রেরই হিসেব, চলতি অর্থবর্ষ, যা মার্চে শেষ হচ্ছে, সেই পর্যন্ত খরচ বাড়বে। তাই সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ৮৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু এবারের বাজেটে নতুন অর্থবর্ষের জন্য কমিয়ে বরাদ্দ করা হলো ৬০ হাজার কোটি টাকা।
২০১৮ থেকে রেগার বরাদ্দ টেনে ধরা হচ্ছে বারবার। এবার সবচেয়ে কম বরাদ্দ হয়েছে। তার ফলে গ্রামাঞ্চলে একশো দিনের কাজ কমবে, বহু মানুষ মজুরি পাবেন না। কেন্দ্র মজুরি বকেয়া রাখার রাস্তায় যাবে।
বাজেটের আগের দিন প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা যোজনা সংক্রান্র মঞ্চ ‘পিপলস অ্যাকশন ফর এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি’ বলেছে যে বর্তমান ঘাটতিগুলি পূরণ করতে, মুদ্রাস্ফীতির ভিত্তিতে মজুরি সংশোধন করতে এবং সমস্ত কাজের চাহিদা মেটানো নিশ্চিত করতে, ‘‘২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষের ন্যূনতম বাজেট হতে হবে ২.৭২ লক্ষ কোটি টাকা’’।
যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সম্পূর্ণ উল্টো পথে হেঁটেছেন। অতিমারী চলাকালীন গ্রামীণ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সম্পূর্ণভাবে রোজগারের ক্ষতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলিকে রক্ষা করেছিল। এটি দরিদ্র গ্রামীণ জনসংখ্যার একটি বড় অংশের মানুষের কাছে একটি নিরাপত্তা।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি, সিএমআইই’র সমীক্ষা জানাচ্ছে যে গত ডিসেম্বরে গ্রামাঞ্চলে বেকারির হার ৭.৭ শতাংশ। কর্মহীনতার হার বিপজ্জনক স্তরে রয়েছে। তবু বরাদ্দ সঙ্কোচনের রাস্তায় নিয়েছে কেন্দ্র।
আগস্ট ২০২২ সাল থেকে, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম (MGNREGS) কর্মীরা অর্থ প্রদানে বিলম্ব, কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হওয়া, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে কম মজুরি এবং ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সাহায্য বা ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার মতো একাধিক সমস্যা বারবার সামনে এসেছে।
পশ্চিমবঙ্গে আবার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতির দায় চাপানো হয়েছে গরিব মেহনতি জনতার ওপর। বন্ধ করা হয়েছে তাঁদের মজুরি।
Comments :0