প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ত্রিপুরা ছাড়ার আগেই আক্রান্ত হলেন বামফ্রন্ট বিধায়ক। প্রতাপগড়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালালো বিজেপি’র দুষ্কৃতী বাহিনী।
বুধবার শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। বামফ্রন্ট এবং বিরোধী অন্য দলের কর্মীদের ওপর অবিরত আক্রমণের আবহে হয়েছে শপথ অনুষ্ঠান। এদিনই অমিত শাহের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করছেন তিপরা মথার সভাপতি প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা। আলোচনায় রয়েছেন মানিক সাহা এবং বিজেপি’র জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
সন্ত্রাসের প্রতিবাদে শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেননি বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। অংশ নেনন কংগ্রেসের নেতারাও। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানের চিঠি পাঠিয়ে একতরফা সন্ত্রাস বন্ধের দাবি জানায় বামফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার সিপিআই(এম)’র ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়েছে একের পর এক সন্ত্রাসের ছবি এবং ভিডিও। আক্রান্ত হয়েছেন বৃদ্ধারাও। মাথায় ব্যান্ডেজ, সারা মুখে ক্ষতচিহ্ন নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বিবরণ দিচ্ছেন ত্রিপুরার বাসিন্দারা।
ভোটের পরই তিপরা মথা প্রধানের বিজেপি বৈঠকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে বিভিন্ন অংশই। বিজেপি’কে হটানোর ডাক দিয়েই নির্বাচন লড়ে জনজাতি সমর্থনের ভিতে থাকা এই দল। জনজাতি প্রতিনিধি দাবি করে লড়া অপর দল আইপিএফটি বিজেপি’র সঙ্গী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে ভোট। ১টির বেশি আসন পায়নি আইপিএফটি।
মথা পেয়েছে ১৩ আসন। কিন্তু আদিবাসী সংরক্ষিত নয় এমন বহু আসনে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সমঝোতায় লড়া প্রার্থীদের ভোট কেটেছে। ফলাফলেই তা স্পষ্ট দেখা গিয়েছে।
সিপিআই(এম) জানিয়েছে, ‘‘বিজেপি সন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পায়নি গবাদি পশুও। খোয়াই শহরের লালছড়া এলাকায় বিরোধী সমর্থকদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় গবাদি পশু।’’
Comments :0