MAMATA BANERJEE COMPENSATION

ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মমতার, প্রতিবাদকে দায়ী করার কৌশল

রাজ্য

স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনার ছবি সংগ্রহ থেকে।

সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় প্রশ্ন তুললে বরাবর রে-রে করে তেড়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে সরকারি কাঠামোয় রোগীমৃত্যু নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়ে উঠলেন মমতা ব্যানার্জি নিজে।
মুখ্যমন্ত্রী জানাচ্ছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ২ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে। 
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-মৃত্যুর পর থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েই সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা মঞ্চ থেকেও আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছিলেন যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপর্যয়ের যে অভিযোগ সরকার তুলছে তা একেবারেই ঠিক নয়। সিনিয়র ডাক্তাররা পরিষেবা সচল রেখেছেন। 
প্রতিবাদী চিকিৎসকদের বক্তব্য, রাজ্যে নথিভুক্ত চিকিৎসক প্রায় ৯৩ হাজার। জুনিয়র ডাক্তারদের সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজার। তাঁরা শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেন। তা’হলে তাঁদের কর্মবিরতিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ল কী করে? 
মমতা ব্যানার্জি শুক্রবারও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে দায়ী করেই মৃত্যুর সংখ্যা এবং ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রীরাও জনতার সঙ্গে চিকিৎসকদের বিরোধ তৈরির মতো মন্তব্য করেই গিয়েছেন। উদয়ন গুহ, লাভলি মৈত্র, হুমায়ুন কবীর বা কল্যাণ ব্যানার্জিদের মন্তব্য এবং হুমকিতে সেই উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন প্রতিবাদীরা। 
চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী ‘গণশক্তি’কে এই বিষয়েই বলেছেন, ‘‘একটি মৃত্যুও আমরা চিকিৎসক হিসেবে চাই না। কিন্তু রাজ্য ভুয়ো তথ্য দিয়ে প্রমাণ করতে চাইছে জুনিয়র ডাক্তাররাই দায়ী। কোথায় কোথায় মারা গিয়েছেন কতজন, তার কোনও উল্লেখ নেই।’’ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস’র অন্যতম পদাধিকারী এই চিকিৎসক বলেছেন, ‘‘এমন হাসপাতালেরও হিসেব করা হচ্ছে যে খানে কোনও জুনিয়র ডাক্তারই নেই। যে যে হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ করেন সেখানে কী এর আগে রোগী মারা যাননি? তা’হলে সেই সংখ্যা কত, রাজ্য সরকার সেই তথ্য দিচ্ছে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment