চিন্ময় কর
মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের সোনাখালি হাইস্কুল ময়দানে সোনাখালি ও গোপীগঞ্জ দুই এরিয়া কমিটির ডাকে লুঠেরাদের হঠাও, জনগনের পঞ্চায়েত গড়ো এই আহ্বান জানিয়ে জনসমাবেশ সংগঠিত হয়। সভায় সোনাখালি বাজারের তিন দিক থেকে বঞ্চিত উপেক্ষিত কৃষক ক্ষেতমজুর মানুষের তিনটি মিছিল এসে আছড়ে পড়ে। সেই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য ও রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পার্টির জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ সহ পার্টি নেতৃবৃন্দ।
এদিন বিশাল সমাবেশে মহম্মদ সেলিম বলেন, গ্রাম বাংলা জুড়ে যখন চোর তাড়াও জেলে ভরো স্লোগানে উত্তাল হচ্ছে তখন চোর আর ডাকাত দুই দল একে অপরকে আঁকড়ে থেকে লুঠের রাজত্ব কায়েম রেখে বেঁচে থাকতে ঘনঘন সরকারি ভাবে, আবার গোপনে শলা পরামর্শ করছে। নবান্ন হোক আর ছাপান্ন হোক দেশ ও রাজ্য জুড়ে যে জনবিরোধী নীতি ও শাসক দলের দুর্নীতির হাত থেকে মানুষ রেহাই চাইছেন। তাই সিপিআই(এম) এই ডাকাত ও চোর দুই শাসকদলকে জনবিচ্ছিন্ন করতে বাকি সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষকে এককাট্টা করে বিকল্পের বার্তা নিয়ে লড়াই সংগ্রামের ময়দানে। কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সেই সমস্ত মানুষকে লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, চোর ডাকাতদের রাজ খতম করতে আজ সাধারণ মানুষ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য দুই শাসকদলের গোপন বোঝাপড়া একে অপরকে সাহায্য করে লুঠের রাজত্ব কায়েম রাখতে চায়। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এরা আর পার পাবে না। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই দুই শক্তির দুর্নীতির বিষয় গুলি তুলে ধরে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে এদের জনবিচ্ছিন্ন করার ডাক দিলেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ও রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ তার বক্তব্যে বলেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এখন হুমকি দিয়ে সাধারণ মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। এত দুর্নীতি,পঞ্চায়েতে লুঠ, গাছ, বালি, মোরাম বোল্ডার লুঠ, আবাস যোজনায় সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ জবাব দিতে প্রস্তুত। এতদিন কি বলা হতো, বিজেপিকে জব্দ করতে তৃণমূল, আর তৃণমূলকে জব্দ করতে বিজেপি পারবে। কিন্তু এই দুটো দল মিলে জনগণকেই জব্দ করেছে। মানুষ হিসাব বুঝে নিতে তৈরী। এখন সময় মতো পঞ্চায়েত ভোট করবে কিনা তা নিয়ে দুইদল অজুহাত খাড়া করার চক্রান্ত করছে বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন।
এদিনের সভায় সভাপতিত্ব করেন রনজিত পাল। ছিলেন পার্টি জেলা কমিটির নেতৃত্ব শান্তনু চক্রবর্তী, সুনীল অধিকারী গুনধর বোস প্রমুখ।
Comments :0