{ad]
পঞ্চায়েত প্রধান বলছেন তিনি জানেন না। পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে স্থানীয় তৃণমূলের নেতা তিনিও বলছেন জানেন না। আবার তিনি এও বলছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি নিয়ে হয়তো নদীর পলি ঢুকছে ইটভাটায়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলছেন হয়তো টয়তো নয়। প্রধান এবং প্রধানের ছেলে সব জানে। পঞ্চায়েতের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দিনের পর দিন নদীর পলিমাটি চুরি হচ্ছে। অথচ তারা জানেন না বলে সাফাই দিচ্ছে। যদিও হাড়োয়ার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক আশীষ সেন বলেন, এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসে নি। পাশাপাশি তিনি এও বলেন নদীর পলিমাটি নেওয়ার কোন অনুমতি দেওয়া হয় নি। এভাবে নদী থেকে পলিমাটি চুরি অবৈধ। তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
{ad]
ঘটনাস্থল উত্তর ২৪পরগনার হাড়োয়া থানার অধীন কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। অভিযোগ, সেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে বিদ্যাধরী নদীর পলিমাটি চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটাতে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই। নদীবাঁধের গা ঘেঁষে মস্ত বড়ো পলিমাটির খাদান তৈরি করা হয়েছে। আর সেই খাদান থেকে জেসিবি লাগিয়ে জনসমক্ষে ট্রাকে করে মাটি ইটভাটাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিনে দুপুরে। কীভাবে চলছে নদীর পলিমাটি চুরি? বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত লাগোয়া বয়ে গেছে বিদ্যাধরী নদী। সেই বিদ্যাধরী নদীবাঁধ লাগোয়া মাটি কেটে ডক তৈরি করা হয়েছে। জোয়ারের সময় নোনা জল সেই ডকে ঢুকিয়ে আটকে রাখা হয়। আস্তে আস্তে নোনা জল থিতিয়ে গেলে জমা হয় পলি। ভাটার সময় জল ছেড়ে দেওয়ার পর জমা হওয়া পলিমাটি খাদান থেকে তোলার হয় জেসিবি দিয়ে। এরপর সেই পলিমাটি ট্রাকের পর ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয় ইটভাটায়। যারা এই মাটি কাটার কাজ করছিলেন তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন আমরা পেটের জ্বালায় এই কাজ করছি। এ বিষয় নিয়ে এখানকার তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বলুন। তাদের নির্দেশে এই মাটি চুরি চলছে। জেসিবি চালক বাবুসোনা মন্ডল বলেন, খাদানের মালিকের নাম জানি না। আমাকে মাটি লোড করে দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে।
{ad]
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিদ্যাধরী নদীর পলি মাটি এভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেল এভাবে নদী থেকে পলিমাটি চুরি এখন রোজকার ঘটনা। প্রকাশ্যে নদীর পলিমাটি চুরি হচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। প্রয়োজন মতো আগ্নেয়াস্ত্র বোমা গুলি মজুত করছে তৃণমূল। সেই সমস্ত বোমা বন্দুক গুলি কিনতে অনেক টাকার দরকার। তাহলে সেই টাকার উৎস কী? প্রশ্নের উত্তরে গ্রামবাসীরা জানান নদীর পলিমাটি চুরি করে বিক্রি করাই টাকার উৎস। যদিও গ্রামবাসীদের এহেন অভিযোগ মানতে নারাজ কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মঙ্গলি সারদা ও তার ছেলে। তবে নদীর পলিমাটি চুরির ঘটনা কার্যত স্বীকার করে নেন।
Comments :0