ফসলের দাম না দিয়ে কৃষককে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ফড়েদের দখলে বাজার। তারাই দাম ঠিক করছে। সার, কীটনাশক, বীজে কালোবাজারি চলছে। এখন এক বস্তা (৫০কেজি)’র আলুর দর ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। আলু চাষের খরচের অর্ধেকও উঠবে না। আবারও সব খোওয়ানোর মুখে আলুচাষীরা। ফের রাস্তায় নামছেন কৃষকরা। ১১ মার্চ গোটা রাজ্যে জাতীয় এবং রাজ্য সড়ক অবরোধ করবেন আলুচাষীরা। সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে প্রস্তুতি।
১১ মার্চের কর্মসূচির জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভার ডাকে ফালাকাটা কমিউনিটি হলে উত্তরবঙ্গের আলুচাষীদের নিয়ে হয়েছে কনভেনশন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার বলেছেন, ‘‘আলু তোলা শুরু হয়েছে, অথচ দাম ক্রমশ কমছে। সঙ্কটে আলুচাষীরা। সরকারকে বাধ্য করাতে হবে যাতে কুইন্টাল পিছু ১ হাজার টাকা নিশ্চিত করে কৃষকদের।’’
হালদার বলেন, কৃষকদের ঋণ আরো বাড়বে দাম না পেলে। কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল সরকার নীরব হয়ে রয়েছে। দুই সরকারের নীতির কোনো তফাৎ নেই। কৃষক আন্দোলনই তিনটি কালা কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। আন্দোলনই পথ।’’
সোমবার থেকেই পঞ্চায়েত, ব্লক অফিসগুলিতে ডেপুটেশন হবে। কনভেনশনে মুল প্রস্তাব পেশ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা তমসের আলি। তিনি বলেন, কৃষি দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এ বছর ১২০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হতে পারে। রাজ্যের হিমঘরের আলু সংরক্ষণের ক্ষমতা ৬৪ লক্ষ মেট্রিক টন। প্রায় ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু রাখার কোনো সুযোগ নেই আলুচাষীদের। বামফ্রন্ট সরকার ৩৪ বছরে আলুচাষীদের জন্য সংরক্ষণের জন্য হিমঘর করেছিলো। তৃণমূল সরকার আলু রাখার বাড়তি ব্যবস্থা করছে না। লোকসানে ফলন বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। ঋণগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
সংগঠন রাজ্য সভাপতি বিপ্লব মজুমদার বলেছেন। এ রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর আলুচাষীরা সর্বনাশের মুখে পড়েছেন। পশ্চিম বাংলার আলু যখন ট্রাক বোঝাই করে পাশের রাজ্যে যাচ্ছিল, তখন রাজ্য সীমান্তে ট্রাক আটকে দেওয়া হয়। এই কনভেনশনে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার, জেলার আলুচাষীরা অংশ নেন।
Comments :0