ত্রিপুরায় বিজেপি ফের ভোটে জেতার পর থেকে রক্তের হোলি চলছে। অসভ্য বর্বর বিজেপি, আএসএস ঘাতক বাহিনীর নির্বিচার অত্যাচারে সন্ত্রস্ত বামপন্থী কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ। বিভিন্নস্থানে প্রাণঘাতী হামলা চলছে। ঘরছাড়া বহু মানুষ এর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণআন্দোলনের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে রবিবার রায়গঞ্জে সাধারণ মানুষের বিশাল মিছিল হলো। মিছিলের ডাক দিয়েছিল ডিওয়াইএফআই উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটি। সাংগঠনিক সভায় এসেছিলেন রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি ও রাজ্য সভাপতি ধ্রুব জ্যোতি সাহা। রাজ্য যুব সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা ছাড়ায় মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন গৌতম বর্মণ, সুরজিত কর্মকার, কার্তিক দাস, তীর্থ দাস, সামী খান, ইন্দ্রজিত বর্মণ, অয়ন চক্রবর্তী, হান্নান চৌধুরি প্রমুখ ছাত্র-যুব নেতৃবৃন্দ।
মিছিলে অংশ নেওয়ার আগে মীনাক্ষী মুখার্জি সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই ফ্যাসিস্ত আক্রমণের শিকার হচ্ছেন দলিত, আদিবাসী গরিব মানুষ। মায়ের আর্তনাদ কান্না শুনতে পাচ্ছেন দেশের আমজনতা। অথচ এদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বিকার। কে কি করছে, কি খাচ্ছে টক ঝাল মিষ্টি নুনের গল্প অনেক হচ্ছে অথচ ত্রিপুরাতে কয়েকশো বাড়ি দোকান ঘরে আগুন, একের পর এক রাবার বাগান পুড়ছে। বেপরোয়া সন্ত্রাসে রাষ্ট্রপতির ভুমিকা কি? তিনি আরও বলেন, যেই তৃণমুল সেই বিজেপি। কাজের দাবিতে লড়াইয়ের মুখ মইদুল খুন, প্রতিবাদী যুবক রাতের অন্ধকারে আনিস খুন। শিক্ষিত বেকার যুবকের হাতে কাজ চাই। ১০০ দিনের কাজের দাবিতে ডিওয়াইএফআই লড়ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবেই।
Comments :0