রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দিলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর। প্রবল ক্ষুব্ধ বিরোধীরা বলেছেন, আদানিকাণ্ডের তদন্তের দাবি থেকে পালাতে সরকার রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করল।
বিজেপি আবার পালটা আক্রমণে নেমে বিরোধীদের দায়ী করেছে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এবং রাজ্যসভার দলনেতা পীযূষ গোয়েল সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধীদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন।
বাজেট অধিবেশনের গোড়া থেকে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে ধস নামার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ আলোচনা চাইছিলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস, বামপন্থী, এনসিপি’র মতো দলগুলির সাংসদরা দাবি জানালেও মানতে নারাজ থেকেছে সরকার। বস্তুত রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় সংসদের দুই কক্ষেই আদানি প্রসঙ্গে নীরব থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার সকালেই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খারগের ঘরে বৈঠক করেন বিরোধী দলের নেতারা। তদন্তের দাবিতে অনড় থাকার অবস্থানই নেন তাঁরা। সভায় ধনকর ঘোষণা করেন যে খারগের বক্তৃতার বিভিন্ন অংশ কক্ষের কার্য বিবরণ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তৃতায় খারগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আদানি গোষ্টীর প্রধানে সম্পর্ক নিয়ে জানতে চান। লোকসভায় এই প্রশ্ন তোলায় বাদ গিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তৃতার অংশ। তাঁকে সভা অবমাননার নোটিশও ধরানো হয়েছে।
বিরোধীদের দাবি, হয় সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে। নয়তো সংসদের যৌথ কমিটি গড়তে হবে। আদানি নিয়ে প্রশ্ন তুললেই বিজেপি সাংসদরা, দলের মন্ত্রীরা বলছেন ভিত্তিহীন। তা’হলে তদন্তে কিসের ভয়?
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরও বিরোধীদের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন। তদন্তের দাবিতে ওয়েলে নেমে আসেন বিরোধীরা। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এর কিছু পরে ১৩ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন বন্ধ রাখার ঘোষণা করেন ধনকর।
Comments :0