২০১৪ সালের পরেই বারংবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ইউ জি পিজি কোর্সের ফলাফল প্রকাশ করতে ব্যর্থ হচ্ছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একদিকে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব অন্যদিকে ত্রুটি যুক্ত ফলাফল। পিএইচডি এমফিলের মতো পরীক্ষা হচ্ছে এডমিট কার্ড ছাড়াই। দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও ছাত্র-ছাত্রীরা হাতে পাচ্ছে না রেজাল্টের হার্ড কপি, সার্টিফিকেট। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন অন্ধকারের মুখে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ।
দখল হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বহু মূল্যের জায়গা সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে দখল হচ্ছে। সমস্ত ঘটনা জেনেও উপাচার্য সহ কর্তৃপক্ষ নীরবতা পালন করে চলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে শুক্রবার অধ্যাপক ছাত্র শিক্ষক আধিকারিক শিক্ষা কর্মী অভিভাবকদের যৌথ মঞ্চ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে বর্ধমান কার্জন গেট থেকে রাজবাটি পর্যন্ত মিছিল সংঘটিত হয়।
এদিন মিছিল থেকে অভিযোগ করা হয়, ডি ডি ই - অস্তিত্ব সংকটের মুখে। ১৯৯৩-৯৪ সালে অনেক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে প্রথম দূরশিক্ষা বিভাগ চালু করে। অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী এই বিভাগ থেকে পঠন-পাঠন সম্পন্ন করে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্রমশঃ উন্নতি লাভ করে ডিডিই., প্রশাসনিক এবং আর্থিকভাবে একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বর্তমান উপাচার্য সহ কর্তৃপক্ষের অযোগ্যতা এবং পরিচালনগত ত্রুটির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউ.জি.সি - ডি.ই.বি.) তার অনুমোদন তিন বছর (২০২০ সাল থেকে) প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এ আমাদের সকলের কাছে লজ্জার। এর ফলে একদিকে যেমন অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী (যারা রেগুলার কোর্সে চান্স পায় না বা পড়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই) পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আবার ডিডিই-তে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারী তাদের চাকুরি নিয়ে এক চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। তাঁদের ন্যায অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
উপাচার্য ও সহ উপাচার্য নিয়োগেও দুর্নীতি’র অভিযোগ তোলা হয়েছে এই মিছিল থেকে। বর্তমান উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য যাদের দ্বারা নিযুক্ত হয়েছেন আইন অনুযায়ী সেই ব্যক্তিরা (অর্থাৎ বিকাশ ভবনের আধিকারিকেরা) কোন ভাবেই এই নিয়োগ করতে পারেন না। গোটা বিষয়টি বর্তমানে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। তাই এদিন অধ্যাপক ছাত্র শিক্ষক আধিকারিক শিক্ষা কর্মী অভিভাবকদের যৌথ মঞ্চ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে বর্ধমান কার্জন গেট থেকে রাজবাটি পর্যন্ত মিছিল সংঘটিত হয়। তাঁরা পথে নেমেই গৌরবের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে সকল মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
Comments :0