প্রতীম দে ও অরিজিৎ মণ্ডল
জননেতা, কিংবদন্তী কমিউনিস্ট নেতাকে স্মরণ করেই সমাজবিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্র। জ্যোতি বসু নগর (নিউটাউন)-এ চলছে সেই কেন্দ্রেরই প্রথম পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। শুক্রবার সকালে, ঠিক এখন, গাইছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
আর রেজওয়ানা বলেছেন, ‘‘কৃতজ্ঞতা জানাই এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জন্য। প্রত্যাশা রাখছি এই গবেষণা কেন্দ্রের সাফল্যের। শান্তিনিকেতনে পড়াশোনার সুবাদে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নাড়ির সম্পর্ক।’’
তিনি জানান, জ্যোতি বসুর সঙ্গে তাঁর স্মৃতির কথা। রেজওয়ানা বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁর জীবন জুড়ে রবীন্দ্রনাথ। শিক্ষা শান্তিনিকেতনে। মুক্তমনারা আক্রান্ত দু’পারেই। এই মৌলবাদ, সামপ্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অনমনীয় লড়াইয়ের অনবদ্য নেতাও জ্যোতি বসু। তাঁরই প্রয়াণদিবসে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে এসেছেন রেজওয়ানা।
জ্যোতি বসু মানে প্রতিস্পর্ধী চেতনা। চেতনা অশুভের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার, সাহসের। এই প্রকল্প ঘোষণার সময়েই জ্যোতি বসু সমাজবিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি জানিয়েছেন বিকল্প চেতনা গড়ে তোলাই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই গবেষণা, সমীক্ষার কাজ হবে এই কেন্দ্রে। হবে প্রগতির পক্ষে চিন্তার চর্চা।
তিনি এদিন বলেছেন, ‘‘বহু মানুষর বহু সাহায্য এসেছে বলেই আমরা এই পর্বে এগতে পেরেছি। গোটা প্রকল্প একবারে করতে পারা যাবে না। ধীরে ধীরে এগতে চাইছে। সাহায্য করছেন বলেই এগতে পেরেছি। অর্থনৈতিক সংকট থাকলেও এই সংস্থার তৈরির ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য এসেছে। তাই এই পর্যন্ত কাজ করা গিয়েছে। ধীরে ধীরে তিন ধাপে আরো কাজ হবে। যারা সাহায্য করেছেন তাদের ধন্যবাদ, অভিনন্দন জানাই।’’
মঞ্চে রয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রয়েছেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর কোঅর্ডিনেটর প্রকাশ কারাত। রয়েছেন পলিট ব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।
বিমান বসু বলেছেন, ‘‘কমরেড জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে বামফ্রন্ট সরকার মানুষের পক্ষে কাজ করে গিয়েছে বহু বাধা অতিক্রম করে।’’ এখন উদ্বোধন করবেন প্রকাশ কারাত।
২০১০ সালে জ্যোতি বসুর প্রয়াণের পর প্রকাশ কারাত লিখেছিলেন ‘আর কোন জ্যোতি বসু হবে না’। বিদেশ থেকে আসার পর শ্রমিকদের স্বার্থে টানা লড়াই করে গিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি গরিব মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছেন, যার প্রভাব এখনও আছে।
প্রকাশ করা হলো একটি ডায়েরি, যেখানে বছরের বিভিন্ন দিনে নির্দিষ্ট বছরে জ্যোতি বসুর কর্মকাণ্ডের উল্লেখ রয়েছে।
Comments :0