Iran Israel

ইরানের প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্রের হামলা চালালো ইজরায়েল

আন্তর্জাতিক

ইরানের সর্ববৃহত প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালালো ইজরায়েল। বিশ্বের সর্ববৃহত প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র দক্ষিণ পার্শ গ্যাস ফিল্ড। ইরান এবং কাতার দুই দেশের মাঝে এই অঞ্চল। পার্শ গ্যাস ফিল্ডে উৎপাদন হওয়া গ্যাসের দুই তৃতীয়াংশ ইরানের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার পর ইরান তৃতীয় দেশ গ্যাস উৎপাদনের ক্ষেত্রে। 
ইরান ইজরায়েলের সামরিক সংঘাতে এতদিন পর্যন্ত পরামনু কেন্দ্রে বা সেনা ঘাঁটিকে ঘিরে হচ্ছিল। কিন্তু এই প্রথম ইজরায়েল গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ করে হামলা চালালো। অনেকে মনে করছেন এবার তেল উৎপাদন কেন্দ্র গুলোকে লক্ষ করবে ইজরায়েল সেনা। 
ইরানের পক্ষ থেকে প্রথম থেকে দাবি করে আসা হচ্ছে মার্কিন মদতেই ইরানের ওপর হামলা চালাচ্ছে নেতানিয়াহু। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সামাজিকমাধ্যমে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘ইরানে যে হামলা হয়েছে, তা নিয়ে আমেরিকার কিছুই করার ছিল না। যদি আমাদের উপর কোনও পথে, কোনও ভাবে বা আকারে ইরান হামলা চালায়, তা হলে আমেরিকার সেনাবাহিনী সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে আপনাদের উপর। এমন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে, যা আগে দেখা যায়নি।’’ সূত্রের খবর আমেরিকার সাথে আলোচনা করেই ইরানে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। 
আমেরিকার দাবি আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ ভেঙে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালাচ্ছে ইরান। ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাক চায় না ট্রাম্প প্রশাসন। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান ইতিমধ্যেই ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধতা ৬০ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে। পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে এই বিশুদ্ধতার পরিমাণ আরও কয়েক শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে ইরানকে। এই নিয়ে আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে বৈঠকের কথা হলেও তা বার বার ভেস্তে গিয়েছে। ৬০ দিনের সময় সীমা বেধে দিয়েছিল মার্কি যুক্তরাষ্ট্র সেই সময়ও পার করে গিয়েছে। 
শনিবার তেল আভিভ এবং জেরুজালেমে ইরান আক্রমণ করেছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ইজরায়েলকে সরাসরি সহায়তা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 
শনিবার ইরানের পরমাণু শক্তি কমিশনের মুখপাত্র বেহরোজ কামালবান্দি দাবি করেছেন যে ইজরায়েলের আঘাতে নাতানজ, ফোরদো বা ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্রের মূল পরিকাঠামোর ক্ষতি হয়নি। 
চলতি পর্বে ইজরায়েলের হামলায় তিনটি উদ্দেশ্য সামনে এসেছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
এই অংশের মত অনুযায়ী একটি উদ্দেশ্য হলো, পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করিয়ে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি সই করতে ইরানকে বাধ্য করা। দুই, পশ্চিম এশিয়ায় মুলুক দখলে বাধা দেওয়ার মতো কেউ আর না থাকে নিশ্চিত করা। ২০২৩’র অক্টোবরের পর হামাস এবং হিজবোল্লার একাধিক শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে ইজরায়েল। তিন, ইরানে জমানা বদল বা আমেরিকার ‘রেজিম চেঞ্জ’ নীতি কায়েম করা।

Comments :0

Login to leave a comment