কাজে নেমে মৃত্যু হলে সাফাইকর্মীর পরিবারকে দিতে হবে অন্তত ৩০ লক্ষ টাকা। দুর্ঘটনার কারণে স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতা হলে সরকারকে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। সাফাইকর্মীদের অবহেলার মনোভাব ছাড়তে হবে রাজ্য বা কেন্দ্রের সরকারকে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারকে।
নিকাশি নালায় নেমে মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক সাফাইকর্মীর। মলমূত্রের মতো বর্জ্য হাতে করে সাফ না করানোর আইন রয়েছে। বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে না। আবার ম্যানহোলে নেমে বর্জ্য পরিষ্কার করতে হচ্ছে সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই।
এ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় কড়া মনোভাব নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্দিষ্ট করার পাশাপাশি গাইডলাইনও জারি করেছে দুই বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ। বিচারপতি ভাট বলেছেন, স্থায়ী চরিত্রের না হলেও কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার মতো আঘাতের ক্ষেত্রে শ্রমিককে দিতে হবে ১০ লক্ষ টাকা।
গত বছর লোকসভায় বিপজ্জনক অবস্থা স্বীকার করেছিল কেন্দ্রই। সরকারি তথ্যেই দেখা গিয়েছিল যে গত পাঁচ বছরে কাজে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪৬ জন সাফাইকর্মী। অনেকে মারা গিয়েছেন সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমেও। উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, তামিলনাডুতেই মৃত শ্রমিক মোটের ৪০ শতাংশ।
শ্রমিক আন্দোলনে সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অংশের ক্ষোভ, সাফাইয়ের কাজের বরাত সরকার দিয়ে দেয় ঠিকাদারদের হাতে। বেশিরভাগ জায়গায় ঠিকদারদের ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নিকাশি নালায় নামিয়ে দেয় শ্রমিকদের। অনেকেই আর ওঠেন না। তারপরও চলে অবহেলা। মৃত্যুর দায়িত্ব কেউ নিতে চায় না। মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বা সামান্য টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে আবার শুরু হয় কাজ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আবেদনকারী এবং বিভিন্ন অংশ রায়ের পূর্ণ বয়ানের অপেক্ষায় রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি যে সংস্থাগুলি জড়িত তাদের সমন্বয় থাকা জরুরি। হাতে করে মলমূত্র পরিষ্কার যাতে করতে না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
Comments :0