রাজ্যে যেদিন বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেদিন জ্যোতি বসুর একটি কথা ছিল রাইটার্স থেকে রাজ্য শাসন হবেনা। সাধারণ মানুষ নিজেদের গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে গ্রাম শহরে নিজেরাই সরকার পরিচালনা করবেন। জ্যোতি বসুর সেই কথা পরবর্তীতে ধাপে ধাপে পঞ্চায়েত নির্বাচন পৌরসভা নির্বাচন নিয়ম মেনে লাগাতার পরিচালিত হয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয় এ রাজ্যে। এখন দেখা যাচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকার সব আইন নিয়ম ভন্ডুল করে জনগণের অধিকার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে নিজেদের মনমত করে পরিচালনা করছে। নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হচ্ছে।
বাংলার মানুষের হারানো অধিকার ক্ষমতাকে পুনুরুদ্ধার করতে আমাদের পার্টি সদস্য কর্মী সমর্থক দরদি যারা আছেন সবাইকে সংগঠিত করে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাহস ভরসা যোগাতে হবে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এই কথাগুলি বললেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্র। বৃহস্পতিবার বিকালে ধূপগুড়ি এরিয়া কমিটির ডাকে পার্টি অফিসের সভা ঘরে ধূপগুড়ি পৌরনির্বাচনকে সামনে রেখে এক আলোচনা সভা হয়। এই সভায় পার্টির জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বক্তব্য রাখেন। সায়নদীপ মিত্র বলেন ধূপগুড়ি সহ রাজ্যের অনেকগুলো পৌরসভার নির্বাচন বকেয়া পড়ে আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় হয়ে গেছে অথচ রাজ্য সরকার সেই সবকে উপেক্ষা করে চলছে।
কারণ নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী আচমকা নির্বাচন ঘোষণা করতে পারে। যাতে বিরোধী শক্তি প্রস্তুত হতে না পারে। এভাবেই ওরা ক্ষমতায় থাকতে চায়। মিত্র বলেন রাজ্যের সর্বত্র এখন শাসক দলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের তীব্র ক্ষোভ ঘৃনা প্রকাশ হচ্ছে। এই সময়েই নানান প্রকল্প আর গাল ভরা নাম দিয়ে মানুষকে ফের নিজেদের পক্ষে আনার কায়দায় নেমেছে তৃনমুল। আমরা সমাজের সব নাগরিকদের মনে জমে থাকা রাগ ক্ষোভ ঘৃনা যন্ত্রনাকে এক সুতায় বেঁধে সবাইকে নিয়ে আন্দোলনের পথে থাকতে চাই। তিনি বলেন আমরা পঞ্চায়েত পৌরসভা নির্বাচনকে শুধু মাত্র পরিষেবা দেবার বিষয় নিয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে রাজনৈতিক সমস্যা কারণ গুলি উল্লেখ করে দেখাতে চাই সেই লক্ষ নিয়েই আমাদের নামতে হবে। তৃণমূল বিজেপি কেউ কারো শত্রু নয় দুজনেই আসলে ঘনিষ্ঠবন্ধু সে কথা বার বার প্রমাণিত হয়েছে বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে।
Comments :0