ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তাররা অনশনে। রাজ্য সরকারের তরফে বার্তা নেই। যোগ দিচ্ছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরাও বসছেন অনশনে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এবং উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের দুই পড়ুয়া ডাক্তার আমরণ অনশনে বসেছেন মঙ্গলবারই। ধর্মতলায় চলমান অনশনের সংহতিতে গত ৫৬ ঘণ্টা ধরে তাঁরা অনশন করছেন।
ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকরা ৫ অক্টোবর থেকে অনশন শুরু করেছেন। তার ৭০ ঘন্টা অতিক্রান্ত। কলকাতা পুলিশ নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু পাশে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন অংশের নাগরিকরা। জুনিয়র চিকিৎসকরা মূলত ১০টি দাবিকে সামনে রেখে অনশন করেছেন। তাঁদের দাবি সমূহ তিলোত্তমার ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে, স্বাস্থসচিবকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটর করতে হবে, প্রয়োজন মতো সিসিটিভি, বাথরুম ও প্যানিক বাটন চালু করতে হবে,হাসপাতাল গুলিতে সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে, ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে, থ্রেট সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে ইনকোয়ারী কমিটি বসিয়ে তদন্ত করতে হবে,রাজ্যের সমস্ত কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে, স্বাস্থ্য দফতরে দুর্নীতি সঠিক তদন্ত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে মেডিকেল কলেজগুলিতে যে 'থ্রেট কালচার' এবং দুর্নীতির প্রতিবাদ প্রবল, তার মাথা হিসাবে উঠে এসেছে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র নাম। কিন্তু তিলোত্তমার ঘটনার পর এই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে 'থ্রেট কালচার' উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন পড়ুয়া চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়ার চিকিৎসকরাও একদিনের প্রতীকি অনশন করলেন। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়ার চিকিৎসকরাও এদিন অনশনে সামিল হন। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাথে এদিন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররাও ১২ ঘন্টা অনশনে বসলেন। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ধর্ণা মঞ্চে আছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা, নার্স এবং চিকিৎসা কর্মীরা। সোদপুর বাসিন্দা ৬৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মহিলা অনশনগত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে অনশন মঞ্চে বসে পড়েন। তিনি বললেন, ‘‘এই ডাক্তাররা আমার সন্তান তুল্য। তাদের দাবি নিয়ে সরকারকে আলোচনায় বসতে হবে। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।
Comments :0