ধর্মঘট বানচাল করতে বসিরহাট এস ডি ও অফিসে যথারীতি হাজির তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও পুলিশবাহিনী। সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মীদের একে অফিসে আনা হচ্ছে। সেই সাথে চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীদেরও কাউকে কাউকে আসতে দেখা গিয়েছে। চোয়াল শক্ত করে ধর্মঘট সফল করতে সরকারি কর্মচারী পেনশনার্সরা সকাল থেকে হাজির অফিস চত্বরে। উত্তেজনার পরিবেশ তৈরির আশঙ্কা করছেন নেতৃবৃন্দ। ধর্মঘটের সমর্থনে এদিন মিছিল হয় বসিরহাটে।
তাজ্জব-পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ধর্মঘট বিরোধী প্রচারের ব্যানারে মহকুমা শাসকের ইউনিট। এটাও কী সম্ভব?প্রশ্ন তুলছেন বনধ সমর্থনকারীরা।
এদিন ধর্মঘটের সমর্থনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান বিক্ষোভ বসিরহাট মহকুমা আদালত চত্বরে।
মিছিল পিকেটিং বিক্ষোভ সভা চললো দিনভর।বসিরহাট শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে স্কুল আদালত ঘুরে মহকুমা শাসকের করনের মূল গেট,এ ডি আই অফিস অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা বিশ্বজিৎ বসূ,১২ জুলাই কমিটির রঞ্জিত মুখার্জি, বক্তব্য রাখেন অরিত্র মল্লিক, অরিত্র বিশ্বাস(এবিটিএ)। সভাপতিত্ব করেন সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের নেতা প্রলয় বিশ্বাস। এস ডি ও অফিস, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েতগুলিতে, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, স্কুল, কলেজ কর্মচারীদের উপস্হিতি একেবারে ছিল একেবারে নগন্য। তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনের দুচার জন থাকলেও মহকুমা জুড়ে ধর্মঘটে কার্যত অভূতপূর্ব সাড়া পড়তে দেখা গেছে।যদিও পঞ্চায়েতপ,ঞ্চায়েত সমিতিগুলি এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা বিভ্রান্তমূলক।প্রচার করছেন উপস্হিতির হার ভালো।
রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটি বসিরহাট মহকুমার অভ্যন্তরে ধর্মঘটকে সমর্থন করেন ৪২৩ জন কর্মচারী। এবিটিএ'র ২৫০০, এবিপিটিএ'র ১৪০০ শিক্ষক শিক্ষিকা এবং পঞ্চায়েত কর্মচারী সমূহের যৌথ মঞ্চের ২০। জন কর্মচারী ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
Comments :0