EC recognises Shinde faction the real Shiv Sena

প্রতীক হারিয়ে জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক উদ্ধব গোষ্ঠীর

জাতীয়

ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীকে আসল শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই জন্য শিবসেনার আসল প্রতীক ‘ধনুক ও তীর’ তাদের গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ করেছে কমিশন।
বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের ঠিক আগে শিবসেনার উদ্ধব থ্যাকারে গোষ্ঠীর পক্ষে এই পদক্ষেপ একটি বড়সড় বিপর্যয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।  
যদিও শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল থ্যাকারে ছেলে উদ্ধব থ্যাকারেকেই দলের উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করে গেছিলেন, তাসত্বেও, এমনকি, একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী শিবসেনার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ সংস্থায় কোনো প্রতিনিধিত্ব না থাকা সত্বেও কিসের ভিত্তিতে তাদের গোষ্ঠীকে আসল শিবসেনার স্বীকৃতি দিল নির্বাচন কমিশন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উদ্ধব থ্যাকারে। 
নির্বাচন কমিশন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দলটিকে আসল শিবসেনা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার একদিন পরে, আজ, প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের প্রধান উদ্ধব থ্যাকারে শনিবার তার দলের নেতা এবং কর্মচারিদের একটি বৈঠক ডেকেছেন ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। শিবসেনা (Uddhav Balasaheb Thackeray) নেতা, নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং মুখপাত্রদের বৈঠক বিকেলে বান্দ্রায় থ্যাকারে বাসভবন 'মাতোশ্রী'তে অনুষ্ঠিত হবে।


এই প্রথমবারের মতো থ্যাকারে পরিবার ১৯৬৬ সালে বাল থ্যাকারে দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পার্টির অধিকার হারালো।
থ্যাকারে শুক্রবার কমিশনের সিদ্ধান্তকে "গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক" বলে অভিহিত করেন এবং বলেন যে তিনি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবেন। অন্যদিকে শিন্ডে শিবির একে "সত্য ও মানুষের জয়" হিসাবে প্রশংসা।
মহা বিকাশ আঘাদি এর প্রধান কারিগর এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ার বলেছেন যে তার মিত্র উদ্ধব থ্যাকারের "ধনুক এবং তীর" প্রতীক হারানোর কোনও বড় প্রভাব পড়বে না। তিনি উদ্ধব থ্যাকারেরকে নতুন প্রতীক নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন "মানুষ নতুন প্রতীক গ্রহণ করবে"। একই সাথে পাওয়ার একটি সতর্ক মন্তব্য করে বলেন, "এটি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। একবার সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে আর আলোচনা করা যাবে না। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন এবং একটি নতুন প্রতীক নিন। এটা (পুরানো প্রতীক হারানো) কোনো বড় প্রভাব ফেলবে না কারণ মানুষ নতুন প্রতীক গ্রহণ করবে।’’ 
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী কীভাবে কংগ্রেসের প্রতীক হারিয়েছিলেন তা স্মরণ করে পওয়ার বলেন, "মানুষ উদ্ধব থ্যাকারে গোষ্ঠীর নতুন প্রতীককে গ্রহণ করবে যেভাবে তারা কংগ্রেসের নতুন প্রতীককে গ্রহণ করেছিল।"

"আমার মনে আছে ইন্দিরা গান্ধীও এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। কংগ্রেসের কাছে 'জোড়া বলদ' প্রতীক ছিল। যা তারা হারিয়েছিল এবং নতুন প্রতীক হিসেবে 'হাত' গ্রহণ করেছিল এবং মানুষ তা গ্রহণ করেছিল। একইভাবে, মানুষ  উদ্ধব গোষ্ঠীর নতুন প্রতীক গ্রহণ করবে,’’ বলেন তিনি।

Comments :0

Login to leave a comment