আইসিডিএস সেন্টারের চাল, ডাল চুরির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মগরাহাটের নৈনান গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাসপুর গ্রামে। আইসিডিএস সেন্টারের দিদিমণি ও রাধুনিকে ঘেরাও করে রাখা হয় দীর্ঘ সময়। আইসিডিএস সেন্টারের চাল, ডাল চুরির ঘটনায় বিক্ষোভের পর মহিলারা গ্রামে সাক্ষর সংগ্রহ করছেন। জমা পড়বে নৈনান গ্রাম পঞ্চায়েতে। শনিবার এমনটাই জানালেন বিক্ষোভকারী মায়েরা।
তাঁদের কথায়, ব্যাসপুর গ্রামে শান্তিসংঘ ক্লাবে এই আইসিডিএস সেন্টার চলছে। দীর্ঘদিন ধরেই শিশুদের খাবার ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছিল না। অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার তাও অনেককে দেওয়া হচ্ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই চাল, ডাল চুরি সম্পর্কে সন্দেহ দানা বাধছিল গ্রামবাসীদের মধ্যে। শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায় সামান্য খিচুরি করেছে। কয়েকজনকে দেওয়ার জন্য। শিশুদের মায়েরা আইসিডিএস সেন্টারের দিদিমণি ও রাধুনিকে চেপে ধরলে জানা যায় শুক্রবার চাল, ডাল তাঁরা বিক্রি করেছে। এই ঘটনায় প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে ওই আইসিডিএস সেন্টার ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় শিশু কোলে মায়েরা। গ্রামের অন্যান্য মহিলারাও এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আইসিডিএস সেন্টারের দিদিমণি সাহিদা গাজি এভাবে সেন্টার পরিচালনা করছে। চাল,ডাল, ডিমসহ শিশু খাদ্য বিক্রি করে দিচ্ছে। অবিলম্বে তাঁদেরকে বদলি করে দেওয়া ও ঘটনার তদন্তর দাবিতে গ্রামে সই সংগ্রহ করা হয় এদিন। এই দাবিতে নৈনান গ্রাম পঞ্চায়েতে এই আবেদন জানাবেন তাঁরা। তাঁরা আক্ষেপ করে জানান, চাল, ডালে জলের সঙ্গে হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে শিশুদের দেওয়া হয়। তাও সকলকে দেওয়া হচ্ছিল না। পচা ডিম সেদ্ধ দেওয়া হয়। সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টার পর শিশুদের খাদ্য দেওয়া হয়না। অফিসের দোহাই দেখিয়ে দিদিমণি সাহিদা গাজি কিছুক্ষণ থেকেই চলে যেতো। জিজ্ঞাসা করলে বলতো আমি দুটো সেন্টার চালাতে পারবো না। এদিন বিক্ষোভের সময় চাল, ডাল, ডিমের স্টক দেখাতে পারেনি। কোন কাগজ দেখায় নি যে কি পরিমাণ চাল, ডাল, ডিম তাঁরা এক সপ্তাহে সেন্টার পরিচালনার জন্য পেয়েছে। মায়েদের বিক্ষোভের সময় স্থানীয় যুবকেরা সেন্টারে আসেন। তাঁরাও জানতে চান। কিন্তু কোন কাগজই তাঁদেরও দেখানো হয়নি। আইসিডিএস সেন্টারের শিশু খাদ্যও লুট হচ্ছে। নেই প্রশাসনের কোন নজরদারি। প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারী মহিলারা।
Comments :0