সুশোভন
আমেরিকান ফিনান্সিয়াল ফরেনসিক রিসার্চ ফার্ম হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের একমাস পরেও আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস অব্যাহত। গত একমাসে আদানি গ্রুপের মোট লোকসান প্রায় ১৩৫ বিলিয়ন ডলার! মোট সম্পদ কমে ৪৭.৬ বিলিয়ন ডলার। মুকেশ আম্বানির ৮৫ বিলিয়ন ডলারের থেকে বেশ কিছুটা কম। এই কদিন আগেও যে গৌতম আদানি ছিলেন এশিয়ার ধনীতম আর বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি তিনি নতুন তালিকা অনুসারে বর্তমানে ২৫ নম্বরে।
গোড়ার কথাগুলি এতদিনে সবাই কম বেশি জানেন। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে মোদ্দা কথা হলো আদানি গ্রুপ আর্থিক জালিয়াতি করেছে। আদানি গ্রুপের যে ২৫% স্টক মার্কেটে আছে, তার বড় অংশই, আদানি গ্রুপ, মরিশাস, ক্যারিবিয়ানের মতো ‘ট্যাক্স-হেভেন’ দেশে ভুয়ো কোম্পানি রেজিস্টার্ড করিয়ে, অ্যাকাউন্টস জালিয়াতি করে, নিজেরাই কিনে রেখেছে। এতে আদানির স্টকের জন্য মার্কেটে ‘ফেক’ ডিম্যান্ড তৈরি হয়েছে। স্টকের ভ্যালু বেড়েছে। চড়া দামে সেই স্টক বিক্রি হয়েছে। যেখানে কোনও স্টকের ভ্যালু দ্বিগুণ হলেই অসাধারণ মনে করেন মার্কেট এক্সপার্টরা, সেখানে শেষ তিন বছরে আদানির স্টকের ভ্যালু বেড়েছে ৩০-৪০গুণ। আবার এই জালিয়াতির দরুন আদানি গ্রুপের সম্পদ ৮৫%-ই ‘ওভার প্রাইসড’। গোদা বাংলায়, আদানির সম্পদ ১০০ টাকা দেখানো হলে বাস্তবে তা ১৫ টাকার। বাকিটা ভুয়ো।
ক্রনি ক্যাপিটালিজমের প্রসঙ্গ আসছে স্বাভাবিকভাবেই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আদানির সম্পর্ক সকলেই জানেন। বিভিন্ন টেন্ডার বেআইনিভাবে আদানিকে তুলে দেওয়ার অভিযোগও ভূরি ভূরি। সেবি, আরবিআই’র অকর্মণ্যতা। এছাড়াও দেশের বেসরকারি বিমা সংস্থাগুলিকে ছাপিয়ে আদানি গ্রুপের স্টকে এলআইসি’র সর্বোচ্চ বিনিয়োগ। ভুয়ো সম্পদের উপর ভিত্তি করে আদানি গ্রুপকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ কোটি লোন। মূলত স্টেট ব্যাঙ্ক। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত সঞ্চয় এখন বিপদের মুখে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে ক্রনি ক্যাপিটালিজমের বৃহত্তম নিদর্শন দেখে চক্ষু চড়কগাছ দেশ বিদেশের মানুষের।
২
কিন্তু আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডে এই অর্থনৈতিক জালিয়াতির এবং ক্রনি ক্যাপিটালিজমের দিকটা ছাড়াও একটা নতুন উপাদান যুক্ত হয়েছে। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আদানি সমর্থনে নিজেদের মত জানিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে সঙ্ঘের মুখপত্র অর্গানাইজারে লেখা হয়েছে, “আদানির বিরুদ্ধে এই রিপোর্ট আসলে ভারতের বামপন্থী লবির একটি চক্রান্ত এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিকে থামিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র।”
আদানির সমর্থনে বিজেপি’র নেতা-মন্ত্রী প্রকাশ্যে বয়ান দেবেন, তৃণমূলের মতো দল চুপ থাকবে এটা স্বাভাবিক। কারণ আদানি গ্রুপ বা এই ধরনের বিগ বিজনেস হাউস যে ইলেক্টরাল বন্ড কিনে পার্টি ফান্ডে জমা করে আর বিনিময়ে সরকার তাদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য নীতি প্রণয়ন করে এটা তো আজকাল ক্রনি ক্যাপিটালিজমের ওপেন সিক্রেট।
বিজেপি শাসিত রাজ্য তো আছেই। কিন্তু অত দূরে না গিয়ে তৃণমূলকেই দেখুন। রাজ্যে আদানি গ্রুপের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ আপাতত দুই। হলদিয়া, তাজপুর। এছাড়া কয়েক লক্ষ মানুষকে উচ্ছেদ করে দেউচা পাঁচামী লুটের ব্লু-প্রিন্ট রেডিই। তাজপুরে ১১২৬ একর জমি, ৯৯ বছরের জন্য রাজ্য সরকার আদানিকে দিয়েছে মাত্র ১ টাকা লিজে। দিতে হয়নি স্ট্যাম্প ডিউটি, রেজিস্ট্রেশন চার্জ। তুলে দেওয়া হয়েছে, করা হয়েছে মাল ওঠা নামার ঊর্ধ্বসীমা। লঘু হয়েছে সরকারি নজরদারি। নেই কর্মসংস্থানের গ্যারেন্টি ক্লজও। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের ইলেক্টরাল বন্ড মারফত এবছর আয় বেড়েছে ৫২৮ কোটি। ঘাসে মুখ দিয়ে না চললে তো হিসাব মেলাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু সঙ্ঘ পরিবারের আদানির সমর্থনে সরাসরি নেমে পড়া – এটা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণের দাবি রাখে। বিগত ১০ বছরে ঘৃণার রাজনীতির যে মসৃণ চাষ সঙ্ঘ পরিবার দেশের প্রতিটি কোণায় নিরন্তর করে যাচ্ছে, সেই আঙ্গিকে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে মোদী সরকার। একদিকে বহুত্ববাদী ভারতের কাঠামোকে সম্পূর্ণ ভেঙে সঙ্ঘ পরিবারের ড্রিম প্রোজেক্ট ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ গঠনের জন্য মোদী সরকারের ক্ষমতায়ন জরুরি। আর অন্যদিকে মোদী সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হলে আদানি বা অনুরূপ বিগ বিজনেস হাউসের পার্টি ফান্ডের ডোনেশনও প্রয়োজন। সঙ্ঘ পরিবার তাই জানে তাদের ফ্যাসিবাদ কায়েমের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার কর্পোরেট পুঁজি।
৩
ফ্যাসিবাদ এবং বিগ বিজনেস হাউসের এই মিথোজীবিতা নতুন প্রবণতা নয়। ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৩। ১৫ দিন পর জার্মানিতে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। রাইখস্ট্যাগের কোয়ার্টার-প্যালেসে সন্ধেবেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল একটি গোপন সভা। আমন্ত্রিত জার্মানির জাতিগত বিশুদ্ধতা রক্ষায় দায়বদ্ধ শীর্ষ শিল্পপতিরা। সভার উদ্যোক্তা নাৎসি পার্টির চারজন শীর্ষ নেতা— গোয়েরিং, গোয়েবলস, কোষাধ্যক্ষ স্যাফট এবং চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলার।
বক্তৃতায় হিটলার বলেছিলেন, “গণতন্ত্রের গর্ভে ব্যক্তি মালিকানা পুষ্ট হতে পারে না। ব্যক্তি মালিকানার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে প্রয়োজন একজন সর্বশক্তিমান নেতার ব্রজকঠিন লৌহমুষ্ঠি। গণতন্ত্রের লালিত্যময় কোমল করস্পর্শেই কমিউনিস্ট চেতনা জার্মান সমাজে প্রভাব বিস্তার করেছে। কমিউনিস্টদের চিরতরে মুছে ফেলতে, জাতীয়তাবাদের পুনঃ-জাগরণ ঘটিয়ে ব্যক্তি মালিকানার স্বর্ণগর্ভ ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে আমি বদ্ধপরিকর। নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক, ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় রাখতে হবে আমাদেরই। প্রয়োজনে অস্ত্রের প্রমত্ত শক্তিতে। আশাকরি আপনাদের সাহায্য পাবো।” সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্ত্যেষ্টি প্রস্তাবে উল্লসিত শিল্পপতিদের ২লক্ষ ৭১হাজার রাইখসমার্ক অনুদানে মুহূর্তে উপচে পড়েছিল স্যাফটের ঝুলি।
তামাম দুনিয়ার তাবড় ফ্যাসিস্তদের উত্থান হয়েছে, মন্দ অর্থনীতির প্রেক্ষাপটেই, জাতীয়তাবাদের সঙ সেজেই, সবকা সাথ/সবকা বিকাশের গান গেয়েই আর দেশের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের ঢঙ করেই। সেই উত্থানের অনুঘটক হয়েছে কখনও ১৯৩০’র আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মন্দা, কখনও দুর্নীতিগ্রস্ত ইউপিএ-২’র পলিসি প্যারালাইসিস। দ্রুত মুখোশ বদলেছে ফ্যাসিস্তদের, বিকাশের গোরু গাছে চড়েছে, ঘৃণার বারুদে দেশ সেজেছে। বিদ্বেষের ধিকিধিকি জ্বলতে থাকা আগুনে ঘৃতাহুতি করেছে সেদিনের গোয়েবলস থেকে আজকের অর্ণব গোস্বামীরা। সর্বশক্তিমানের ৫৬ ইঞ্চির আড়ালে, নিশ্চিন্তে, মুনাফা লুটে, ব্যক্তি মালিকানার মালাই চেটেছে সেদিনের রাইখসমার্ক অনুদানকারী শিল্পপতিরা আর আজকের আদানিরা।
৪
খেয়াল করলে দেখা যাবে আদানির সমর্থনে সঙ্ঘ পরিবারের মুখপত্রে লেখার দুটি অভিমুখ আছে। প্রথমত, সঙ্ঘ পরিবার মনে করছে আদানির আর্থিক জালিয়াতি সামনে আনার চক্রান্তের রচয়িতা বামপন্থীরা। কয়েক মাস আগেও সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপিং-এ দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী কমিউনিস্টদের সম্পর্কে বলছেন –“আজকাল কমিউনিস্টরা আর কোথায়? ঐ কোণে কেরালাতে গিয়ে সীমিত হয়ে গেছে। কিন্তু যত ছোটই হোক, ঐ মতাদর্শটা বিপজ্জনক। ঐ মতাদর্শটাকে হারানো জরুরি।” হিন্দিতে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট উচ্চারণ “উস (কমিউনিস্ট) ভাবধারা কো হারানা জরুরী হ্যা”।
সঙ্ঘ পরিবার আর প্রধানমন্ত্রীর কথা হুবহু মিলে যাচ্ছে না? বিজেপি’র মতো একটা আদ্যোপান্ত সাম্প্রদায়িক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তার থেকেও নরেন্দ্র মোদীর জরুরি পরিচয় উনি সঙ্ঘ পরিবারের অনুগত দাস এবং এক সময়ের প্রচারক। সেই সঙ্ঘ পরিবার আর তার কৃতি সন্তান নরেন্দ্র মোদী যদি কমিউনিস্টদের মতাদর্শকে ভয় পান তাহলে সেই ভয় তো কমিউনিস্টদের সার্টিফিকেটই। আদানির জালিয়াতি ফাঁস করার পিছনে আমেরিকান ফিনান্সিয়াল ফরেনসিক রিসার্চ ফার্ম হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট ছাড়া অন্য কারও হাত আছে বলে জানা নেই, তবে এই দেশে তো বটেই গোটা দুনিয়া ঐতিহাসিকভাবেই ক্রনি ক্যাপিটালিজমের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়ছে কেবল বামপন্থীরাই।
২৭ ফেব্রুয়ারি বার্লিনের রাতের নিকষ অন্ধকার চিরে আগুন জ্বলেছিল রাইখস্ট্যাগে। গেস্টাপো চিফ রুডলফের উদ্দেশ্যে বিকট চিৎকারে গোয়েরিং বলেছিলেন “এটা কমিউনিস্টদের কাজ। কমিউনিস্টদের অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে। প্রতিটি কমিউনিস্টকে এখুনি গুলি করে মারতে হবে।” মুহূর্তে নিষিদ্ধ হয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টি, তাঁদের পত্রিকা, তাঁদের সভা-সমাবেশ। গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ১০,০০০ কমিউনিস্ট। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি, ভার্সেই পিস-ট্রিটির বয়ে বেড়ানো ক্ষত, কমিউনিস্টদের গ্যালন কতক রক্ত আর শিল্পপতিদের রাইখসমার্কে সওয়ার হয়ে, ২৩ মার্চ অভিষিক্ত হয়েছিল নাৎসি জার্মানি।
তামাম দুনিয়ায় সমস্ত ফ্যসিস্ত ম্যাসকটদের প্রথম টার্গেট ছিলেন বামপন্থীরাই। হিটলার থেকে মুসোলিনি, পিনোচেত হয়ে ফ্রাঙ্কো – বরাবর ফ্যাসিস্তদের টার্গেট পয়েন্টে কমিউনিস্টদেরই দাঁড়াতে হয়েছে। তাই “উস (কমিউনিস্ট) ভাবধারা কো হারানা জরুরী হ্যায়” –প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত।
৫
সঙ্ঘ পরিবারের মুখপত্রে লেখার দ্বিতীয় অভিমুখ হলো আদানি গ্রুপের জালিয়াতি প্রকাশ্যে আনলে নাকি দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। এই যুক্তির প্রতিটা শব্দ ভুল। অর্থনৈতিকভাবে ভুল। রাজনৈতিকভাবে ভুল। সামাজিকভাবে ভুল। প্রথমত আদানি গ্রুপের শেয়ার ধসে যদি ভারতীয় অর্থনীতি ভেঙে পড়ে তাহলে বুঝতে হবে দেশের অর্থনীতি এমনিতেই কি বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বহুদিন ধরেই কমছে, আদানিকাণ্ডের পরে ভারতের বিনিয়োগযোগ্যতা নিশ্চয়ই প্রশ্নের সামনে। কিন্তু সেটি দালাল স্ট্রিটের সঙ্কট, মূল রাস্তার নয়। আর আর্থিক জালিয়াতি করে গৌতম আদানি যখন এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হয়েছিলেন তখনও দেশের মূল অর্থনৈতিক সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।
অবশ্য ‘দেশ’ আর ‘অর্থনীতি’ সম্পর্কে মৌলিক বোঝাপড়া নিয়ে বামপন্থী আর বিজেপি সঙ্ঘ পরিবারের বিস্তর পার্থক্য আছে। আমাদের কাছে দেশ মাসে মানচিত্র নয়। দেশ মানে মানুষ। ভারত মানে বহুত্ববাদ। ভারত মানে নানান ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, জাতি সংস্কৃতির একটা সংমিশ্রণ। হিন্দুত্ববাদীদের ধারণা মতো কোনও মনোলিথিক রাষ্ট্রযন্ত্র নয়। আমাদের কাছে অর্থনৈতিক উন্নতি মানে ৯৯% সাধারণ মানুষের জীবনের গুণগত মানোন্নয়ন। আদানি আম্বানিদের শেয়ারের দাম বাড়া কিম্বা জিডিপি’র শুষ্ক পরিসংখ্যান নয়। আমাদের কাছে দেশ মানে আদানি-আম্বানি নয়। তাই আদানির গ্রুপের শেয়ার ধস দেশের অর্থনীতির নতুন করে কোনও ক্ষতি হয়নি বরং সাধারণ মানুষের কাছে মোদী সরকারের ক্রনি ক্যাপিটালিজমের চাষের নগ্ন রূপটা বেআব্রু হয়ে গেছে।
মানুষের কাছে ব্যয় করার মতো অর্থ তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ধনীদের উপর সম্পদ কর বসাতে হবে। আম্বানি-আদানিদের ট্যাক্স ছাড় দেওয়া বন্ধ করতে হবে। বিগ বিজনেস হাউসগুলিকে ব্যাঙ্ক থেকে খোলামকুচির মতো লোন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। পার্টি ফান্ডে কর্পোরেট ডোনেশেনের বিনিময়ে কর্পোরেট ফ্রেন্ডলি নীতি প্রণয়ন বন্ধ করতে হবে। এই সব সরল সত্যগুলো যেগুলো অক্ষরে অক্ষরে আদানির জালিয়াতিকাণ্ডে মিলে যাচ্ছে সেগুলি তো একমাত্র বামপন্থীরাই অবিরাম বলে আসছে। আর ঠিক এই কারণেই অন্য কোনও বিরোধী দল নয়। বামপন্থী মতাদর্শই সঙ্ঘ পরিবারের প্রাইম টার্গেট। ঠিক এই কারণেই নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “উস (কমিউনিস্ট) ভাবধারা কো হারানা জরুরী হ্যায়”।
অসুবিধা নেই বরং গর্ব আছে। সঙ্ঘ পরিবারের মতো ফ্যাসিস্তদের বিরুদ্ধে যে কোনও লড়াইয়ে বামপন্থীদের পাবেন সামনের সারিতেই বুক চিতিয়ে। আসলে হিটলার থেকে মুসোলিনি, পিনোচেত হয়ে ফ্রাঙ্কো –ফ্যাসিস্তদের বিরুদ্ধে বুকচিতিয়ে লড়াই করা আমাদের অভ্যাস আছে।
Comments :0