BBC IT Raid

ভয়ের কাছে মাথা নত নয়, জানিয়ে দিল বিবিসি

জাতীয়

নির্ভিক সাংবাদিকতা চালিয়ে যাব। বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল বিবিসি। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৬০ ঘন্টা আয়কর ‘সমীক্ষা’ চালিয়েও কোন ভাবে সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে কিছু প্রমান করতে পারলো না আয়কর দপ্তর।

বিবিসি’র তৈরি করা তথ্যচিত্র ‘মোদী: দ্য ইণ্ডিয়া কোয়েশ্চেন’ সম্প্রচারিত হওয়ার পর পরই সংবাদ সংস্থার দুটি অফিসে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। আয়কর সমীক্ষার নাম করে কমিউটার ফোন সিজ করে চলতে থাকে তল্লাসি। কর্মীদের ব্যাক্তি গত নথিও দেখা হয়।

 

মঙ্গলবার সকাল থেকে সমীক্ষা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে শেষ হয় সেই সমীক্ষা। তারপরেই সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আগের মতোই কোন কিছুতে ভয় না পেয়ে তারা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বিবিসি একটি বিশ্বস্ত, স্বাধীন সংবাদ সংস্থা।আমরা আমাদের সহকর্মী এবং সাংবাদিকদের পাশে আছি যারা ভয় বা পক্ষপাত ছাড়াই খবর করতে থাকবেন।’’  

 বিবিসি’র পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে টুইট করে বলা হয় যে, আয়কর দপ্তরের কর্মীরা ৬০ ঘন্টা অভিযান চালানোর পরে অফিস ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে এই বিষয় কোন তদন্ত হলে কেন্দ্রীয় সংস্থার সাথে তারা সহযোগীতা করবে। এই ৬০ ঘন্টা সময় কর্মীদের দীর্ঘ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকি বহু কর্মীকে রাত জেগে কাটাতে হয়েছে। ভারতে এবং ভারতের বাইরে সংস্থার পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য যখন এই আয়কর সমীক্ষা চলছে তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন যে, বিবিসি ২০০২ সাল থেকে বিভিন্ন ভাবে নরেন্দ্র মোদীর পিছনে পড়ে রয়েছে।

বিবিসি দপ্তরে আয়কর হানা নিয়ে মোদী সরকারকে একযোগে নিশানা করে সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস।

বিবিসি যেই তথ্য চিত্র তৈরি করেছে তাতে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদী এবং আরএসএসের ঘৃন্য ভূমিকা এবং বর্তমান ভারতে সংখ্যালঘু মানুষদের বেহাল পরিস্থিতর কথা উঠে এসেছে। এই তথ্য চিত্র যাতে ভারতে না দেখানো হয় তার জন্য প্রথম থেকেই চেষ্টা চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হিন্দু সেনাকে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করানো হয় তথ্যচিত্র ব্যান করার জন্য। কিন্তু আদালতে সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। দিল্লিতে এসএফআই কর্মীরা এই তথ্যচিত্র দেখাতে গেলে তাদের ওপরেও আক্রমণ করা হয়।  

Comments :0

Login to leave a comment